Advertisement

পূর্ত দফতরের তৈরি টালা ব্রিজের নকসার অনুমোদন দিল রেল

পূর্ব রেল টালা ব্রিজের নকসার অনুমোদন দিয়েছে। পূর্ত দফতর সেই নকসা তৈরি করেছে। ফলে শিগগিরি ওই সেতুর কাজ শুরু করে দেওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ। ছবি: সৌজন্য টুইটার
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 25 Dec 2020,
  • अपडेटेड 1:04 AM IST
  • পূর্ব রেল টালা ব্রিজের নকসার অনুমোদন দিয়েছে
  • পূর্ত দফতর সেই নকসা তৈরি করেছে
  • শিগগিরি ওই সেতুর কাজ শুরু করে দেওয়া যাবে বলে আশা

পূর্ব রেল (Eastern Railways) টালা ব্রিজ (Tallah Bridge)-এর নকসার অনুমোদন দিয়েছে। পূর্ত দফতর (PWD) সেই নকসা তৈরি করেছে। ফলে শিগগিরি ওই সেতুর কাজ শুরু করে দেওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

ওই সেতু তৈরি হয়ে গেলে অজস্র মানুষের উপকার হবে। মাঝেরহাট সেতু ভেঙে যাওয়ার পর রাজ্যের সব সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করে সরকার। তখন টালা ব্রিজের স্বাস্থ্য় পরীক্ষা করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেটি অনেক পুরনো হয়ে গিয়েছে। সেতুর গায়ে একাধিক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। তাই সেটি ভেঙে নতুন সেতু করার কথা বলেন তাঁরা।

তাঁদের পরামর্শ মেনে সেতু ভাঙা শুরু হয়। সেই কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে টালা সেতু (Tallah Bridge) দিয়ে যান চলাচল বন্ধ। আর এর জেরে বিস্তর সমস্যায় মানুষেরা। কলকাতার উত্তর এবং উত্তর শহরতলির বাসিন্দারা প্রবল সমস্য়ায় পড়েছেন। ঘুরপথে তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে। এর ফলে টাকা এবং সময় দুটোই অনেক বেশি লাগছে। নিত্যদিন নাজেহাল হতে হচ্ছে তাঁদের।

তবে আশার কথা, রেলের তরফ থেকে রাজ্য পূর্ত দফতর (PWD)-এর নকসার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে মনে করা হচ্ছে খুব শিগগিরি সেতু তৈরির কাজ শেষ করে দেওয়া যাবে। টালা সেতু (Tallah Bridge) হবে চার লেনের। এটি তৈরি করতে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ২৬৮ কোটি টাকা। মাঝেরহাট ব্রিজের মতো এটিও কেবল স্টেড রেলওভার ধাঁচের হবে।

সম্প্রতি নবনির্মিত মাঝেরহাট ব্রিজ খুলে দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসে সেটির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, "বাংলা মানে একটা স্বপ্নের ভোর, একটা নতুন দিগন্ত।" তাঁর মতে, এই ব্রিজ আগের থেকে অনেক ভাল হয়েছে। এই ব্রিজ দ্বিতীয় হুগলি সেতুর মতো করে দেওয়া হয়েছে। ৬৩৬ মিটার দীর্ঘ এই ব্রিজ তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৩১১.৭৬ কোটি টাকা। এর ফলে যান চলাচলের অনেক সুবিধা হবে বলেও মনে করেন তিনি। মমতা আরও বলেন, "বাংলায় প্রচুর ব্রিজ আছে। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে অডিট হয়নি। প্রত্যেকটা ব্রিজের আয়ু থাকে। সারা বাংলায় যত ব্রিজ আছে সেগুলির কথা ভেবে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। সেই কমিটি অনেক সার্ভে করেছে।" অন্যদিকে এদিন নাম না করে কেন্দ্রকেও একহাত নেন মমতা। তিনি বলেন, "যাঁরা বড় বড় ভাষণ দিয়ে গেছেন তাঁরা ৩৬ কোটি টাকা নিয়েছেন। কেনো নিয়েছেন তাঁদের জিজ্ঞাসা করুন। আর পোর্টট্রাস্ট তো ৭৭ লক্ষ টাকা নিয়েছে। ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই কিল মারার চেষ্টা।"

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement