মঙ্গলবার সকালে আচমকাই প্রয়াত হন প্রাক্তন সাংসদ ও অভিনেত্রী মুনমুন সেনের স্বামী ভরত দেব বর্মা। মঙ্গলবার সকাল থেকেই তিনি অসুস্থতা বোধ করায় তাঁকে ঢাকুরিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হলেও তার আগে বাড়িতেই ভরত দেব বর্মা মারা যান। স্ত্রী মুনমুন সেন ও কন্যা রাইমা দুজনেই এখন দিল্লিতে। প্রয়াত ভরত দেব বর্মার বাড়িতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে তাঁর ব্যক্তিগত ক্ষতি হল।
মমত ভরত দেব বর্মার বাড়ির সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, 'মুনমুন এখানে নেই, মুনমুন দিল্লিতে আছে, রাইমাও দিল্লিতে আছে, রিয়া এখানে আছে। মুনমুন ফ্লাইটে আসবে, মুনমুন এলে আমরা তাড়াতাড়ি ওকে নিয়ে আসার চেষ্টা করব। মুনমুনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, ও বেচারা জানত না, সাংবাদিকদের থেকেই হয়ত জেনেছে। বর্মা খুবই অমাযিক লোক ছিলেন, খুব বড় ক্ষতি হল, ওঁনার তো মারা যাওয়ার মতো বয়সও হয়নি। হট করে মারা গেছেন। ওরা বলছে স্ট্রোক হয়ে মারা গেছে। আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে আমার এক শুভানুধ্যায়ী, এক আত্মীয়কে হারালাম। পুলিশকে বলে রেখেছি মুনমুন আসলে ওকে গ্রিন করিডর করে নিয়ে আসবে। বাদবাকি সব ব্যবস্থা করা আছে। ওনার সুগার ছিল, যেটা আমি জানি, পরশুদিনও পার্টি করেছেন এখানে শুনলাম, তাহলে এমন কিছু অসুস্থ ছিলেন না। কালকে ভোরের দিকে শরীরটা খারাপ করেছে, আর এখন শীতকালে কী হয় ভোরবেলাতেই বা রাতের বেলা স্ট্রোকটা হয়ে যায়। সেটা সমস্যা একটা তাই শীতকালে যত্নটা নেওয়া খুব দরকার।'
ত্রিপুরার রাজ পরিবারের ছেলে ভরতের সঙ্গে মুনমুনের বিয়ে হয় ১৯৭৮ সালে। এরপর দুই মেয়ে- রাইমা ও রিয়াকে নিয়ে তাঁদের সুখের সংসার ছিল। বিয়ের সময় মুনমুন ছিল দারুণ সফল। বহু তরুণের মনে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। তবু সুচিত্রা সেন কন্যার মন মজেছিল ভরতেই। মুনমুন- ভরত, দু'জনের রসায়নও ছিল দারুণ। এমনকী শোনা যায়, অভিনেত্রীর কেরিয়ারেও তাঁকে বরাবর সমর্থন করেছেন স্বামী। সাবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুনমুন একবার বলেন, "আমরা কখনও ঝগড়া- শান্তি না মিটিয়ে ঘুমাই না। আমি আমার স্বামীর উপর নির্ভরশীল থাকতেই ভালোবাসি।" দুপুর ৩টে নাগাদ মুনমুন ও রিয়া দিল্লি থেকে কলকাতায় আসবেন। তারপরই শেষকৃত্য সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।