বিধানসভা চত্বরে বিক্ষোভ চলাকালীন জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের ১২ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা-সহ ১২ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ এফআইআর করেছে। পুলিশ জানিয়েছে যে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) বিভিন্ন ধারা এবং জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা প্রতিরোধ আইনের অধীনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
২৯ নভেম্বর বুধবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে কালা দিবস পালনের ডাক দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। বিধানসভায় সমস্ত তৃণমূল বিধায়করা কালো পোশাক করে যান। কালো পাড়ের শাড়ি পরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বিধানসভা চত্বরে আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে ধর্না চলছিল তৃণমূলের। উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর নাম করে চোর চোর স্লোগান দিতে থাকেন শাসক দলের বিধায়করা।
অমিত শাহের সভা সেরে আচমকা বিধানসভায় যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অন্য বিজেপি বিধায়করাও। তৃণমূলের ধর্না লক্ষ্য করে শুভেন্দু 'চোর চোর' স্লেগান দেন। মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে চোর চোর স্লোগান দিতে থাকেন বিরোধী দলনেতা। এর পর বিধানসভার মূল প্রবেশদ্বারের মুখে বসে পড়েন শুভেন্দুবাবুসহ অন্য বিজেপি বিধায়করা। তৃণমূলের মুখোমুখি বসে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। পাল্টা তৃণমূলের তরফেও ওঠে 'চোর' স্লোগান। চোর, চোর স্লোগানে ভরে যায় বিধানসভা চত্বর তৈরি হয় চরম উত্তেজনার পরিস্থিতি। বিধানসভার মধ্যেই তৈরি হয় উত্তেজনার পরিস্থিতি৷ উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করতে শেষ পর্যন্ত লালবাজারের বিশাল বাহিনী বিধানসভায় যায়। তৃণমূলের দাবি, বুধবার ধর্নায় বসে তাঁদের বিধায়করা যখন জাতীয় সঙ্গীত গাইছিলেন, সেইসময় স্লোগান দিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করেছে বিজেপি। এনিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে অভিযোগও জানানো হয়। পরবর্তীকালে, বিধানসভার সেক্রেটারি সুকুমার রায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'এটি একটা বেআইনি এফআইআর, আমরা এই এফআইআর বাতিল করতে আদালতে যাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং এফআইআর দায়ের করেছেন। আমরা একটি জাতীয়তাবাদী দল এবং আমরা আদালতে চ্যালেঞ্জ করব। তাছাড়া অভিযোগে নানা ভুল আছে। শোভন কাঞ্জিলাল বিজেপি থেকে ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। এছাড়াও নাম আছে চন্দ্রাণী বাউরির। এই নামে আমাদের কোনও বিধায়ক নেই। যিনি আছেন, তাঁর নাম চন্দনা বাউরি। হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের নাম আছে। অথচ তিনি বুধবার বিধানসভাতেই আসেননি।'