কলকাতায় ফের অগ্নিকাণ্ড! শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণ কলকাতার কসবা এলাকায় অ্যাক্রোপলিস শপিং মলে বিধ্বংসী আগুন লাগে। মলের চার তলায় আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।কী কারণে আগুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শপিং মলের ফায়ার এগজিট পরিষ্কার ছিল না বলে অভিযোগ। ফলে শপিং মল থেকে বেরোতে সমস্যা হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম ব্যস্ততম শপিংমল হল অ্যাক্রোপলিস। রোজ বহু মানুষ ভিড় জমান এই শপিং মলে। এই শপিং মলের মধ্যে প্রেক্ষাগৃহ, বহু দোকান, রেস্তরাঁ রয়েছে। তাছাড়া শপিং মলে রয়েছে একাধিক অফিস। আগুন নেভানোর কাজ চালানো হচ্ছে। সব আপডেট রইল এখানে।
চলছে কুলিংয়ের কাজ
অ্যাক্রোপলিস মলে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে দমকল। এখন কুলিংয়ের প্রক্রিয়া চলছে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ আগুন লাগে মলের চতুর্থ তলায়।
আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে
ডিসি (সাউথ) বিদিশা কালিতা দাশগুপ্ত জানালেন, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে। দমকলও জানাল, আগুন নিয়ন্ত্রণে। আগুনের উত্স খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।
ঘটনাস্থলে দমকলমন্ত্রী
ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। বললেন, দুটো ল্যাডার পাঠিয়েছি। যাতে আগে ধোঁয়াটা বের করা যায়। এই ঘটনার ফরেন্সিক হবে। রিপোর্টে কিছু ত্রুটি পেলে আইনত ব্যবস্থা নেব। যদি কর্তৃপক্ষের গাফিলতি থাকে, অ্যাকশন নেওয়া হবে।
গীতাঞ্জলী স্টেডিয়ামে আশ্রয়
এই মুহূর্তে অক্সিজেন মাস্ক পরে আগুন নেভাতে শপিং মলে ঢুকেছেন দমকলকর্মীরা। গীতাঞ্জলী স্টেডিয়ামে আশ্রয় নিয়েছে মলে থাকা লোকজন। আগুনের উত্সস্থল খোঁজার চেষ্টা করছে দমকল।
কাচ ভেঙে শপিং মলের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা
অ্যাক্রোপলি মলে আগুন নেভাতে কাচ ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছে দমকল বাহিনী। এখনও আগুন জ্বলছে। এখনও বেরোচ্ছে কালো ধোঁয়া।
আনা হল হাইড্রোলিক ল্যাডার
আগুন নেভাতে আনা হল হাইড্রোলিক ল্যাডার। এই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে রয়েছে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশের পদস্থ কর্তারা। ভেন্টিলেশন চালু রাখতে ভাঙা হল শপিং মলের কাচ।
বেশ কয়েক জনের আটকে থাকার আশঙ্কা
অগ্নিকাণ্ডের জেরে অ্যাক্রোপলিস শপিংমলের মধ্যে কয়েক জন আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে দমকল।
অক্সিজেন মাস্ক পরে মলের ভিতরে দমকলকর্মীরা
আগুন নেভাতে অক্সিজেন মাস্ক পরে অ্যাক্রোপলিস মলের মধ্যে ঢুকলেন দমকলকর্মীরা। চলছে আগুন নেভানোর কাজ। হুইলচেয়ার নিয়ে ঢুকতে দেখা গিয়েছে দমকলকর্মীদের।
কীভাবে আগুন?
কী কারণে আগুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে শপিং মল। অগ্নিকাণ্ডের জেরে শপিং মল খালি করে দেওয়া হয়েছে। শপিং মলের ফায়ার এগজিট পরিষ্কার ছিল না বলে অভিযোগ। ফলে শপিং মল থেকে বেরোতে সমস্যা হয়েছে।
২ দিন আগেই আগুন লেগেছিল শহরে
গত ১১ জুন কলকাতাতও আগুন লেগেছিল। গত মঙ্গলবার সকালে পার্ক স্ট্রিট এবং ক্যামাক স্ট্রিটের সংযোগস্থলে অ্যালেন পার্কের কাছে একটি বহুতলে আগুন লেগেছিল। একটি রেস্তরাঁয় আগুন লেগেছিল। জানা গিয়েছিল, রেস্তরাঁয় নানা দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। তার জেরে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল।
এর আগে, চলতি বছরে বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে কলকাতায়। গত এপ্রিল মাসে বড়বাজারে নাখোদা মসজিদের কাছে একটি বহুতলে আগুন লাগে। ওই বহুতলের প্লাস্টিকের গুদামে আগুন লেগেছিল। ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। কেউ হতাহত হননি।প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
জানা গিয়েছিল, ওই গুদামে প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত করা ছিল। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কীভাবে ওই বহুতলের মধ্যে প্লাস্টিকের গুদাম ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। উল্লেখ্য, অতীতে বড়বাজারে একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে অন্যতম ২০১৮ সালে বাগরি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড। সে বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আগুন লেগেছিল। প্রায় ২ দিন ধরে জ্বলছিল আগুন। আগুন পুরোপুরি নেভাতে সময় লেগেছিল প্রায় ৪ দিন। বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়।