Advertisement

নিউ টাউনে বাতানুকূল বহুমুখী সুড়ঙ্গ তৈরি করছে হিডকো, দেশে প্রথম

নিউ টাউনে (New Town) বাতানুকূল বহুমুখী সুড়ঙ্গ তৈরি করছে হিডকো (Hidco)। সেখান দিয়ে যাবে টেলিফোন, ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ, কেবল টিভির তার। সেগুলি মেরামতির সময় যখন কোনও কর্মী সেখানে ঢুকবেন, তাঁদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তাই ওই সাড়ে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ বাতানুকূল করা হচ্ছে। হিডকো কর্তাদের দাবি, দেশের মধ্যে এটি প্রথম।

তৈরি হচ্ছে বাতানুকূল সুড়ঙ্গ। পরিদর্শনে হিড়কোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন। ছবি সৌজন্য: হিডকো
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 08 Nov 2020,
  • अपडेटेड 8:45 PM IST
  • নিউ টাউনে বাতানুকূল বহুমুখী সুড়ঙ্গ
  • সেখান দিয়ে যাবে টেলিফোন, ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ, তার
  • হিডকো কর্তাদের দাবি, দেশের মধ্যে এটি প্রথম

নিউ টাউনে বাতানুকূল বহুমুখী সুড়ঙ্গ তৈরি করছে হিডকো। সেখান দিয়ে যাবে টেলিফোন, ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ, কেবল টিভির তার। সেগুলি মেরামতির সময় যখন কোনও কর্মী সেখানে ঢুকবেন, তাঁদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তাই ওই সাড়ে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ বাতানুকূল করা হচ্ছে। হিডকো কর্তাদের দাবি, দেশের মধ্যে এটি প্রথম।

হিডকো সূত্রে খবর, নিউটাউনের যাবতীয় তার, তা সে কেবল হোক বা ইন্টারনেট, সেগুলি মাটির তলা থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মাটির ওপর দিয়ে তার নিয়ে গেলে তারের জঞ্জাল তৈরি হয়। যেমন দেখা যায় কলকাতার বিভিন্ন অংশে। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা প্রথম থেকেই লক্ষ্য নিয়েছিল মাটির তলা থেকে যাবতীয় তার নিয়ে যাওয়া হবে। তাই সেখানে তৈরি করা হচ্ছে সাড়ে ৪ কিলোমিটার লম্বা সুড়ঙ্গ। নিউ টাউনের সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট এলাকায় সেটি বানানো হচ্ছে।

হিডকো কর্তাদের দাবি, দেশের মধ্যে প্রথম কোনও শহরে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এর খরচ বেশি হলেও এর সুফল দীর্ঘমেয়াদি। সংস্কার, মেরামতির খরচ খুব কম। তাই প্রথম দিকে খরচ বেশি হলেও পরে আর কোনও খরচ নেই বললেই চলে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় সহ্য করতেও সক্ষম।

তবে বাতানুকূল কেন? এ ব্যাপারে হিডকো কর্তারা জানাচ্ছেন, সাড়ে ৪ কিলোমিটার লম্বা ওই সুড়ঙ্গে সংস্কার, মেরামতির কাজে ঢুকতে পারেন কোনও কর্মী। তাই ভূগর্ভস্থ পথে বায়ু চলাচল ব্যবস্থা ঠিকঠাক থাকা দরকার। না হলে কর্মীদের শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে, অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তেমন কোনও সমস্যা যাতে না হয় তাই বাতানুকূল ব্যবস্থা। সেটির উচ্চতা ৬ ফুট। 

নিউটাউনে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ বসবাস করবেন বলে হিসেব করেছেন তাঁরা। ওই উপনগরীতে পরিকাঠামো উন্নয়নের বিভিন্ন রকমের কাজ চলছে। তা সে বিদ্যুতের তার বসানো হোক বা ফোন, ইন্টারনেটের তার। সেই কাজ এখনও চলছে। তৈরি হচ্ছে একের পর এক বহুতল আবাসন। এর ফলে দেখা যাচ্ছে এই সব কাজের জন্য ভূগর্ভস্থ যে এলাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, তা কম পড়ছে। তাই একটা অংশকে যাতে বহুমুখী কাজে লাগানো যায়, সেই পরিকল্পনা করছে তারা। আর তাই এই বাতানুকূল সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে। একই জায়গা থেকে বিভিন্ন পরিষেবার জন্য ব্যবহৃত তার নিয়ে যাওয়া যেতে পারবে।

Advertisement

অন্যদিকে, পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে বলে রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি লেগেই রয়েছে। তা সে নতুন তার বসানো হোক বা পুরনো তার মেরামতি করা। আর এই কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তা। অনেক সময় যানজট হয়। ভাঙাচোর রাস্তা দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। এক্ষেত্রে বহুমুখী বাতানুকূল সুড়ঙ্গ তৈরি হয়ে গেলে, সেই সম্ভাবনা অনেকটা কমে যাবে।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement