Advertisement

West Bengal Assembly: বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণ, হঠাত্‍ BJP-র চিত্‍কার, 'চোর ধরো, জেল ভরো'

তিন বছর পর রাজ্যপালের ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হল এদিন টেলিভিশনে। তবে প্রথমেই বিপত্তি। রাজ্যপাল ভাষণ শুরু করতেই তুমুল হট্টগোল শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। চলতে থাকে স্লোগান দেওয়া। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালেপ উপস্থিতিতেই বিজেপি বিধায়করা রব তোলেন 'চোর ধরো, জেল ভরো। ' রাজ্যপালের সামনে কাগজ ছুড়ে বিক্ষোভ দেখানে শুরু করেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা।

রাজ্যপালের ভাষণের মাঝেই BJP-র বিক্ষোভ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 08 Feb 2023,
  • अपडेटेड 2:34 PM IST

তিন বছর পর রাজ্যপালের ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হল এদিন টেলিভিশনে। তবে প্রথমেই বিপত্তি। রাজ্যপাল ভাষণ শুরু করতেই তুমুল হট্টগোল শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। চলতে থাকে স্লোগান দেওয়া। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালেপ উপস্থিতিতেই বিজেপি বিধায়করা রব তোলেন 'চোর ধরো, জেল ভরো। ' রাজ্যপালের সামনে কাগজ ছুড়ে বিক্ষোভ দেখানে শুরু করেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। ছিড়ে ফেলা হয় রাজ্যপালের ভাষণের বক্তব্যও। 

প্রসঙ্গত বুধবার রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে এদিন  দুপুর ২টো থেকে রাজ্যপালের ভাষণ শুরু হয়। এই নিয়ে তৃতীয়বার বিধানসভায় এলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের ভাষণের সময় কোনওরকম হই–হট্টগোল করা যাবে না বলে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিরোধী শিবিরের বিধায়করা প্রথম থেকেই ছিলেন হট্টগোলের মুডে। ভাষণ চলাকালীন বিধানসভার কক্ষ থেকে ওয়াকআউট করেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির অন্যান্য বিধায়করা। বিধানসভার বাইরে চলতে থাকে স্লোগান দেওয়া।  

প্রসঙ্গত  রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আগে থেকেই সরব রয়েছে বিরোধী দল বিজেপি। আজ তাঁদের ভূমিকা কী হবে সেটা স্থির করতে এদিন দুপুর ১টায় বিধানসভায় বৈঠকে বসে বিজেপির পরিষদীয় দল। গত বছর পর্যন্ত রাজভবন-নবান্ন সংঘাতের জেরে রাজ্যপালের বক্তৃতার সম্প্রচার হয়নি বিধানসভা থেকে। তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক একেবারেই ভাল ছিল না।  তিন বছরে ৪ টি বাজেট অধিবেশনে ধনখড়ের একটি ভাষণও সম্প্রচার করা হয়নি। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি ছিল তৎকালীন রাজ্যপালের। 

স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবারই বলেছিলেন, “রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের একটা সুসম্পর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়। বিধানসভা ও রাজ্যপাল কোনও সংঘাতপূর্ণ পোস্ট নয়। সুসম্পর্ক বজায় রেখে চললে সামগ্রীকভাবে কাজ করতেও সুবিধা হবে। তাতে রাজ্যপালও শান্তিতে থাকতে পারেন। রাজ্য সরকারও নিজের কাজকর্ম করতে পারে। যিনি রাজ্যপাল এসেছেন, তাঁর দৃষ্টিভঙ্গী অত্যন্ত স্বচ্ছ। রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করেই তিনি চলতে চান।” মুখ্যমন্ত্রী আগেই রাজ্যপাল প্রসঙ্গে বলেছেন, “তিনি একজন অত্যন্ত সম্মানীয় ব্যক্তি। তিনি প্রকৃত ভদ্রলোক।” মাত্র দু’মাস রাজ্যে এসেছেন রাজ্যপাল। এই দুমাসে রাজ্যপালের তরফেও রাজ্য সরকারের উদ্দেশে সংঘাতের কোও বার্তা আসেনি। এদিন বিধানসভা থেকে রাজ্যপাল বেরিয়ে যাওয়ার সময়ও বিজেপি বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement