CM Mamata CV Aananda Bose Bangladesh: বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যারের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সোমবার এক্স হ্যান্ডেলে রাজভবনের ‘অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি’-র একটি পোস্টে এ কথা জানানো হয়েছে।
রবিবার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অশান্তি প্রসঙ্গে মমতা জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ থেকে কেউ সাহায্য় চেয়ে পশ্চিমবঙ্গের দরজায় কড়া নাড়লে তিনি ফেরাবেন না। তবে সেই সঙ্গেই তিনি জানান, এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারবেন না। কারণ, বাংলাদেশ একটি স্বতন্ত্র দেশ। এ নিয়ে কিছু বলার থাকলে ভারত সরকার বলবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। জানান, বাংলাদেশের পরিস্থিতির জন্য সহমর্মিতা রয়েছে তাঁর।
রাজভবনের এক্স পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘‘সংবিধানের ১৬৭ নম্বর ধারায় দেওয়া ক্ষমতার ভিত্তিতে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন মাননীয় রাজ্যপাল।’’ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতার সীমা লঙ্ঘন করে ওই মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ রাজভবনের। সাংবিধানিক বিধি অনুযায়ী ভারত সরকারের অনুমতি ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী এমন প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন না বলেও ওই পোস্টে বলা হয়েছে।
মুখ্য়মন্ত্রীর অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় কড়া নাড়লে, সাহায্য করব' মন্তব্যের পরেই তাঁকে আক্রমণ করেছে, বিরোধী দলগুলি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, 'গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক অপ্রাসঙ্গিক কথা বলেছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে বিষয়ে তাঁর বা রাজ্য প্রশাসনের কোনও অবস্থান নেই, যেমন বাংলাদেশের জন্য দরজা খোলা। এই বিষয়গুলি কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করে। তিনি সব সময় যেমন হাস্যকর কথা বলেন, এটাও নতুন রসিকতা।'
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে বিজেপি সাংসদ রবি শঙ্কর প্রসাদও বলেছন, 'সংবিধান অনুযায়ী এই অধিকার রাজ্য সরকারের নেই। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে'। সিএএ প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, 'গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে বাংলাদেশে যা হচ্ছে, উনি বাংলার দরজা খোলা থাকবে। মমতাজি, আপনিই সেই ব্যক্তি যিনি সিএএ-র বিরোধিতা করে বলেছিলেন যে হিন্দু, শিখ, পার্সি বা খ্রিস্টান রিফিউজিদের বাংলায় ঢুকতে দেবেন না। মমতাজি সবসময় সিএএ-র বিরোধিতা করেছেন, যেখানে সিএএ-র সঙ্গে ভারতীয় নাগরিকদের কোনও সম্পর্কই নেই, তা সে হিন্দু হোক বা মুসলিম…।”