Hoogley Station Train Stopped: প্ল্যাটফর্মে ও ট্রেনে বেচাকেনা নিয়ে হাওড়া ডিভিশনের হকারদের সঙ্গে রেল বিভাগের বেশ কিছুদিন ধরে বিবাদ চলছে। প্ল্যাটফর্মে বা ট্রেনে অবৈধ হকার উঠতে দিতে নারাজ রেল। ওদিকে হকাররাও তাঁদের ব্যবসা করতে দেওয়ার দাবিতে অনড়। এর জের চলছে সন্ধ্যা পর্যন্ত। শনিবার দুপুরে হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station) ৫ নম্বর স্টেশনে হকার ও আরপিএফ (Hawker-RPF Clash) কর্মীদের মধ্যে ঝামেলা বাধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্টেশন চত্বর। হকারদের সঙ্গে রীতিমতো হাতাহাতি বেধে যায় রেল পুলিশের। আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে।
এরপর হুগলি স্টেশনেও গোলমাল শুরু হয়। রাত ৮ টা নাগাদ হকাররা রেল অবরোধ করে বসে। অবরোধের জন্য হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল এবং বর্ধমান মেন শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে ট্রেন। ছাড়তে অনেক দেরি হবে বলে আশঙ্কা করছে রেল।হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল লোকাল দীর্ঘক্ষণল দাঁড়িয়ে থাকে। ব্যান্ডেলের দিক থেকে হাওড়ায় কোনও ট্রেন আসছে না। যার ফলে এখান থেকে কোনও ট্রেনও যেতে পারছে না। রাত ৮ টা ১০-এর হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল লোকাল ছাড়ে অনেক দেরিতে।
এদিকে পরে রেলের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, আজ (১৬.০৯.২০২৩) ৭:৪৫ থেকে হাওড়া - হাওড়া বিভাগের ব্যান্ডেল বিভাগে হুগলি স্টেশনে অননুমোদিত হকাররা আন্দোলন শুরু করেছে। তিনটি লাইনেই ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের (RPF) কর্মীরা পাশে রয়েছেন। আপ লাইন শীঘ্রই চালু করা হবে। যদিও সঠিক সময় তাঁরাও বুঝতে পারছেন না। পরে অবশ্য রাত ৯ টা ৫ নাগাদ অবরোধ উঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় ১ ঘন্টা বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। এখন ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে এখনও পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি সব জায়গায়। পরে অবশ্য জানানো হয় রাতে অবরোধ ওঠে। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে তা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগবে।
স্টেশনে হকারদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না, এমন অভিযোগে সরগরম হয়ে ওঠে হাওড়া স্টেশন চত্বর। জানা গেছে, এদিন উচ্ছেদের প্রতিবাদে হাওড়া স্টেশনে জড়ো হয়েছিলেন বিভিন্ন জায়গার হকাররা। এদিন তাঁদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল। সূত্রের খবর, এদিন হাওড়া স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের কাছে যে ফুড প্লাজা রয়েছে সেখানে প্রতীকী অবস্থানে বসেন হকাররা। সেই তাঁদের জিনিসপত্র নিয়ে বসে পড়েন সেখানে। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল সংগঠনের প্ল্যাকার্ড। বিক্ষোভ হটাতে আসরে নামে রেল পুলিশ। সেই সময়ই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। হকারদের উঠে যেতে বলে পুলিশ, কিন্তু তাঁরা সে কথা শুনতে নারাজ ছিল। জোর করে বিক্ষোভ তুলতে গেলে রেল পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা বাধে হকারদের। রেল পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় হকারদের। পুলিশ লাঠি হাতে তেড়ে যায়। লাঠিচার্জ করে পুলিশ। চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় স্টেশন চত্বরে। ঘটনার জেরে বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন বাতিল হয়। হয়রানির শিকার হয় নিত্যযাত্রীরা।
হকারদের অভিযোগ, দূর পাল্লার ট্রেনে তাদের উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী স্টেশনের বাইরেও তাদের বসতে দিচ্ছে না রেল। পালটা ডিআরএম জানিয়েছেন, রেলের জায়গা বেআইনিভাবে দখল করে যাত্রীদের অসুবিধা করার চেষ্টা করছে কিছু মানুষ। যাত্রীদের সমস্যা হলে RPF তার কাজ করবেই। জবরদখল কোনও ভাবেই মেনে নেবে না রেল।