পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর গভীর নিম্নচাপটি গত ৬ ঘণ্টায় ১৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সরে গেছে। বিশাখাপত্তনম (অন্ধ্রপ্রদেশ) থেকে প্রায় ৩৯০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে, পারাদ্বীপ (ওড়িশা) থেকে ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে, দীঘা (পশ্চিমবঙ্গ) থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং খেপুপাড়া (বাংলাদেশ) থেকে ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে।
এটি উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে, পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আরও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এবং ১৮ নভেম্বর ২০২৩ এর প্রথম দিকে ৬০-৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বাতাসের গতিবেগ নিয়ে মংলা এবং খেপুপাড়ার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করবে।
এদিকে ইডেন গার্ডেন্সে আজ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, বৃষ্টির জেরে বৃহস্পতিবারের ম্যাচ বিঘ্নিত হতে পারে। সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ মেঘে ঢাকা। ঝোড়ো হাওয়াও বইছে কোথাও কোথাও। কলকাতা-সহ উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বেলা যত বাড়বে বৃষ্টির সম্ভাবনা ততই বাড়বে। দফায় দফায় বৃষ্টির পূর্বাভাস গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে। জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই অতি গভীর নিম্নচাপ গতি পরিবর্তন করে ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে এগোবে। শুক্রবার অর্থাৎ ১৭ নভেম্বর সকালে তা ভুবনেশ্বরের কাছাকাছি ওড়িশা উপকূলে অবস্থান করবে।
তবে শুধু কলকাতা বা উপকূলীয় জেলাগুলি নয়, বৃহস্পতিবার হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়াতেও। ভারী বৃষ্টি, সঙ্গে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। শুক্রবার সেই জেলাগুলিতে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়া মাঝারি বৃষ্টি হবে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, হুগলি, দুই বর্ধমান ও নদিয়াতেও।
কলকাতায় বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৪৬ থেকে ৯০ শতাংশ। সকাল থেকেই শহরের আকাশে সূর্যের দেখা নেই। বেশ মেঘলা আকাশ। বেলা যত গড়াবে, বৃষ্টির সম্ভাবনা ততই বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
এরপর আগামী শনিবার এই নিম্নচাপ উপকূল ধরে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের উপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে এগোবে। এর জেরে আগামী কয়েকদিন সমুদ্র বেশ উত্তাল থাকবে। তাই ১৬ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার থেকে ১৮ নভেম্বর, শনিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদিন ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে রাজ্যের উপকূলের জেলাগুলিতে।