দ্বিতীয় হুগলী সেতুর সংস্কারের কাজ চলছে। সেই কাজ তদরকির দায়িত্বে থাকুক বিদেশি কোনও সংস্থা। এমনটাই চায় রাজ্য সরকার। এই সেতুর ডিজাইন করেছিল জার্মানির সংস্থা শ্লাইচ-বার্গারম্যান। তারাই এই সেতুর কাজের তদারকি করুক, অনুরোধ জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।
১০ অক্টোবর, ১৯৯২ সালে উদ্বোধন করা হয় দ্বিতীয় হুগলী সেতু। যার পোশাকি নাম বিদ্যাসাগর সেতু। জার্মানির কোম্পানি জর্গ শ্লাইচ অ্যান্ড রুডলফ বার্গারম্যান সেতুটির নকশা করেছিল। রক্ষনাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনারদের একজন জানিয়েছেন, ওই সংস্থা থেকে বিশেষজ্ঞদের একটি দল পাঠাতে বলা হয়েছে। যাতে মেরামতের কাজে কোনও ত্রুটি না থাকে। এবং ওই সংস্থাই যেন গোটা বিষয়টির তত্ত্বাবধানে থাকে। ব্রিজটির নকশা খুবই জটিল। কাজে যাতে কোনও ভুল না হয়, সেজন্যই ওই সিদ্ধান্ত।
দ্বিতীয় হুগলি সেতুটি স্টিলের তোরণ ব্যবহার করে ফ্যানের বিন্যাসে ১৫২টি কেবল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। দুই প্রান্তে দুই সেট তোরণ রয়েছে। এবং সেগুলির ভিত্তি জলের নীচে। যা ওপরের তারগুলিকে ধরে রাখে। ১৫২টি 'স্টে কেবলস্' ছাড়াও ১৬টি 'হোল্ডিং ডাউন কেবল' এর আরেকটি সেট নিশ্চিত করে যে ওপরের তারগুলি পুরো সেতুর কাঠামোর টান ধরে রাখতে পারবে। এবং যানবাহনের ভার বহন করার জন্য ডেকটি স্থিতিশীল থাকবে।
ডিসেম্বরে মেরামত শুরু হওয়ার পর থেকে এক মাসের মধ্যে হোল্ডিং তারের একটি সেট সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এখন দ্বিতীয় সেটের কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে। কাজ শেষ করার জন্য মার্চের শেষের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। যাতে সেতুর হাওড়া-গামী ফ্ল্যাঙ্কের একটি লেন যা এখন যানবাহনের জন্য বন্ধ রয়েছে।
২০০ কোটি টাকার প্রকল্পে ব্রিজের ওপরে বেশ কয়েকটি স্টে তারের প্রতিস্থাপন করা, অবশিষ্ট তারগুলির চৌম্বকীয় অনুরণন পরীক্ষা করা এবং প্রায় ২০টি ব্রিজ বিয়ারিং এবং হোল্ডিং ডাউন তারগুলি প্রতিস্থাপন করা হবে। পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের (পিডব্লিউডি) একজন প্রকৌশলী জানিয়েছেন, ওই সংস্থাগুলি সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের বিভিন্ন অংশে কাজ করছে। কারণ নকশাটি বেশ জটিল এবং মেরামত একটি অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট কাজ। কাজ ঠিকঠাক করতে, ওই সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারদের তদারকিতে কাজ করতে চাই।