সিবিআই হেফাজতে থেকেও জেলা পরিষদের পদে থাকা যায়? বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি কাণ্ডে শেখ শাহজাহানকে নিয়ে এই প্রশ্ন উঠল কলকাতা হাইকোর্টে। আদালত শেখ শাহজাহানের আইনজীবীকে জানায়, আপনার মক্কেল একজন জেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধি, এখন তিনি হেফাজতে আছেন। তিনি কী সেই পদে থাকতে পারেন?
আদালত উল্লেখ করেছে যে, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে, শাহজাহানকে দল থেকে বরখাস্ত করা হলেও তাকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করা হয়নি। শাহজাহানের আইনজীবী আদালতকে বলেছিলেন যে, তিনি সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকা বিবেচনা করে যেভাবেই হোক তিনি কোনও ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন না।
শাহজাহানের আইনজীবী এদিন সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, 'এখন আমি অন্ধকারের পোস্টার বয়। কাস্টডি ট্রায়াল প্রয়োজন নেই আমার ক্ষেত্রে।' তাঁর দাবি, কিছু না করা সত্ত্বেও তাঁকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। আরও দাবি করা হয়েছে, জেলা পরিষদের বৈঠকে যাননি তিনি, কাউকে হুমকিও দেননি। ইডি অফিসারদের ওপরে কীভাবে আক্রমণ হল সেটা জানা শাহজাহানের পক্ষে সম্ভব নয়।
এজিকে এদিন বিচারপতি বলেন, 'সংবাদপত্রে পড়লাম অভিযুক্ত একজন নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য। এখন তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁকে পার্টি থেকে সরালেও ওই পদেই রেখে দেওয়া হয়েছে।' গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেছেন এজি। শেখ শাহজাহানের আইনজীবী যুক্তি দিয়েছেন যে, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই।
সাক্ষীদের রক্ষায় সন্দেশখালীতে আদালত সিআরপিএফ মোতায়েনের জন্য করা প্রার্থনারও জবাব চেয়েছে। এলাকার ৮০ জন মহিলা যারা ভুক্তভোগী বলে দাবি করেছেন। তাঁরা এই মামলায় পক্ষ হিসাবে জড়িত হতে চান বলে জানানোর পরে, আদালত তাদের সুস্পষ্ট পরিচয় প্রমাণ-সহ তাদের হলফনামা দাখিল করার অনুমতি দেয়।
এদিন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল আদালতে জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় বুধবার গিয়েছিলেন সন্দেশখালির মহিলারা। তাঁরা মামলার পার্টি হতে চান। হলফনামা চেয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'পরিচয় পত্র সঙ্গে রাখতে হবে ওই মহিলাদের, নাহলে রাজ্য বলতে পারে তারা সেখানকার বাসিন্দা নন।' এদিনই আদালত বান্ধব আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় একটি রিপোর্ট দিয়ে জানান, মহিলাদের অসম্মানের কথা। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে কোনও সীমা নির্দিষ্ট না করেই জমি দেওয়া হচ্ছে?