দৌড়নোর জন্য তৈরি হাওড়া মেট্রো। ডিসেম্বরেই উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল এই রুটের। কিন্তু তা থমকে যায়। এখন এই মেট্রো রুট চালুর সবরকম ছাড়পত্র মিলেছে। শোনা যাচ্ছে দেশের গভীরতম মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবং সেটা মার্চের ৭ তারিখে। যদিও কলকাতা মেট্রোর কাছে এই মর্মে কোনও তথ্য এখনও নেই। কিন্তু সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর দেশের প্রথম নদীর তলা দিয়ে মেট্রোর ঐতিহাসিক সফরে শামিল হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে যদি প্রধানমন্ত্রী মেট্রো উদ্বোধন করেন, সেক্ষেত্রে পুরো বিষয়টিরই দায়িত্ব নিয়ে নেবে তাঁর নিরাপত্তায় থাকা এসপিজি(স্পেশাল প্রোটেকশান গ্রুপ)। গোটা প্রোটকলে থাকবে তারাই। মেট্রোর এক আধিকারিক জানালেন, এক্ষেত্রে রেলের অফিসারদেরও ওইদিন মেট্রোয় ওঠার অনুমতি নাও দেওয়া হতে পারে। সংবাদমাধ্যমকেও মেট্রোয় চড়ার অনুমতি নাও মিলতে পারো। প্রধানমন্ত্রী বা রেলের তরফে একজন ক্যামেরাম্যান থাকবেন। বাকি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরাই দায়িত্ব সামলাবেন।
গত সপ্তাহেই হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালুর জন্য কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি’র (সিআরএস) চূড়ান্ত ছাড়পত্র চলে এসেছে। অন্যদিকে, কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি) মেট্রো রুটও এক বছর ধরে যাত্রী পরিষেবার জন্য প্রস্তুত। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই এই রুট চালুর জন্য সিআরএসের প্রয়োজনীয় অনুমতি মিলেছিল। একইভাবে তারাতলা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত মাত্র একটি স্টেশনের সম্প্রসারিত অংশে মেট্রো চালানোর সবুজ সঙ্কেতও আগেই মিলেছে। সেক্ষেত্রে আগামী ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই তিনটি মেট্রো প্রকল্পে যাত্রী পরিষেবা শুরু হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে।
ধীরে ধীরে সেজে উঠেছে দেশের সবচেয়ে গভীরে মেট্রো স্টেশন হাওড়া। মেট্রো স্টেশনে নামতে গেলে পেরোতে হবে ২০০টি সিঁড়ি! তবে চলমান সিঁড়ি দিয়ে অনায়াসে নামা যাবে স্টেশনে। ইতিমধ্যেই হাওড়া-মেট্রো স্টেশনকে ‘দ্য ডিপেস্ট সাবওয়ে স্টেশন’-র তকমা দিয়েছে রেলওয়ে বোর্ড। গভীরতা ৩২.০০৪ মিটার (১০৫ ফুট)। কলকাতা মেট্রোর ইস্ট-ওয়েস্টে হাওড়া স্টেশনকে ‘কি স্টেশন’ বলা হয়েছে। কারণ হাওড়া দেশের মধ্যে অন্যতম ব্যস্ততম স্টেশন। এই স্টেশনের সংযোগকারী মেট্রো যে রীতিমতো ব্যস্ততম মেট্রো স্টেশন হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দেশে প্রথম নদীর তলা দিয়ে এই মেট্রো যাওয়ার পদক্ষেপকে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করেছেন রেল মন্ত্রকের আধিকারিকরা।