Advertisement

যাদবপুরে পড়ুয়ার মৃত্যু আত্মহত্যা! জাতীয় শিশু কমিশনের রিপোর্টে বিতর্ক

পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঠানো চিঠিতে পকসো আইন যুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। কিন্তু সেই চিঠিতেই মৃত পড়ুয়ার নামোল্লেখ করা হয়েছে। চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্কের সই করা চিঠির ভিতরে মৃত পড়ুয়ার নাম লেখা থাকলেও তা কালো কালি লেপে দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রিয়ঙ্কের পাঠানো চিঠি নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
Aajtak Bangla
  • শিলিগুড়ি,
  • 17 Aug 2023,
  • अपडेटेड 10:59 PM IST
  • যাদবপুরে পড়ুয়ার মৃত্যু আত্মহত্যা!
  • জাতীয় শিশু কমিশনের রিপোর্টে বিতর্ক

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনাকে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন লিখিতভাবে ‘আত্মহত্যা’ বলে দাবি করায় চাঞ্চল্য় সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জুকে চিঠি পাঠিয়েছেন কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো। সেই চিঠিতেই যাদবপুরের ঘটনাকে ‘র‌্যাগিং এবং আত্মহত্যা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঠানো চিঠিতে পকসো আইন যুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। কিন্তু সেই চিঠিতেই মৃত পড়ুয়ার নামোল্লেখ করা হয়েছে। চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্কের সই করা চিঠির ভিতরে মৃত পড়ুয়ার নাম লেখা থাকলেও তা কালো কালি লেপে দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রিয়ঙ্কের পাঠানো চিঠি নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। পকসো আইনে শারীরিক নির্যাতনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে এমন ঘটনায় মৃত পড়ুয়ার নাম উল্লেখ করা যায় না। পাশাপাশি একটা বড় প্রশ্ন উঠছে, পুলিশ যেখানে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে, সেখানে ‘আত্মহত্যা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে কেন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

যদিও পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে ওই পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে বলার পাশাপাশি আর কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা-ও কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে। জবাব দেওয়ার জন্য সাত দিন সময় বেঁধে দিয়েছে কমিশন। নিহতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ। তদন্তে নেমে ন’জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। লালবাজারে ডেকে বুধবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে। বয়ান নেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অব স্টুডেন্টস রজত রায়ের। সেই খুনের তদন্তের মধ্যেই জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন লিখিতভাবে এই মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ বলে দাবি করায় প্রশ্ন উঠছে।

৯ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের নীচ থেকে উদ্ধার করা হয় রক্তাক্ত ওই ছাত্রকে। একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয় ১০ অগাস্ট। পরের দিন, অর্তাৎ ১১ অগস্ট যাদবপুর থানায় খুনের মামলা রুজু হয়। এর পরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যাদবপুরের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নোটিশ পাঠিয়েছিল। পরে বুধবার রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়। পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে ছাত্রের নাম, পরিচয় প্রকাশ্যে এসে গিয়েছিল। কিন্তু পরে জানা যায়, ছাত্রটি নাবালক। বয়স ১৮ বছর পার হয়নি। তা উল্লেখ করে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন জানায়, ওই ছাত্রের উপর যৌন হেনস্থা হয়ে থাকতে পারে। সেই কারণে এই মামলায় পকসো আইনের ধারাও যুক্ত হতে পারে। সংবাদমাধ্যমের কাছে ছাত্রের নাম এবং ছবি ব্যবহার না করার অনুরোধ করেন কমিশনের উপদেষ্টা।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement