যাদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস জুড়ে সিসি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতে বিপুল খরচ হবে। সেইসঙ্গে এবার অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে রাখা হবে যাদবপুরে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, আর্থিক সহায়তার জন্য রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হবে কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ, রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা পাচ্ছে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এমন পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত ব্যয়ের জন্য তহবিলের ব্যবস্থা করা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক।
জানা গেছে, প্রাথমিক পর্যায়ে হস্টেলের গেটে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরায় মুড়তে বিপুল খরচ হবে। কত খরচ হতে পারে, তা ইতিমধ্যেই হিসেব করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখনও সেই হিসেব শেষ হয়নি। কত টাকা লাগবে, তা জানার জন্য কাজ চলছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বললেন, 'আমরা কত টাকা লাগবে, তা জানতে নির্দেশ দিয়েছি। খুব তাড়াতাড়ি কত টাকা লাগবে, তা জানা যাবে। তবে ওই ফান্ড কী ভাবে জোগাড় হবে, রাজ্য সরকারের কাছে চাওয়া হবে কী না, তা এখনও ঠিক হয়নি।'
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন সেনাদের হোস্টেলে প্রহরী হিসাবে নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ বর্তমান নিরাপত্তা কর্মীরা শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে।
সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্য সরকার থেকে অনুদান হিসাবে যা পায়, তা পর্যাপ্ত নয়। যে কারণে বিশাল তহবিলের ঘাটতি রয়েছে। রাজ্যের সাহায্য না মিললে, ক্যামেরা ও প্রাক্তন সেনাকর্মীদের নিয়োগ সম্ভব নয়। ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষে যাদবপুরের বিদ্যুৎ, হস্টেল ও লাইব্রেরির খরচ অনুদানের থেকে অনেক বেশি বলে জানা গেছে।
তবে রাজ্য সরকারকে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করা হলে, তাতে সরকার সাড়া দেবে কী না, তা জানতে শিক্ষমন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল।তিনি ব্যস্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর সহায়ক।