যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর নড়ল টনক। হোস্টেলে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কড়া সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের। হোস্টেলে প্রবেশ বা বের হওয়ার সময়ে সই করানো হচ্ছে পড়ুয়াদের। লগ বুকে পর পর সব রেকর্ড রাখা হচ্ছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পর থেকেই একের পর এক বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এমনিতেই ঘটনার পর হোস্টেল থেকে প্রাক্তনীদের বের করে দেওয়া হয়।
শুধু তাই নয়, হোস্টেলে বহিরাগতদের প্রবেশেও নিয়ন্ত্রণ আনা হয়। মেন হোস্টেলে ঢোকা-বেরনোর সময়ে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এতদিন গেস্ট হিসাবে বহিরাগত ও প্রাক্তনীরা আসতেন। শুধু তাই নয়, দিনের পর দিন অবাধে থেকেও যেতেন। সেই অব্যবস্থা এবার বন্ধ করা হয়েছে।
ব়্যাগিংয়ের ঘটনায় হোস্টেলে আসা বহিরাগত, প্রাক্তনীরাই জড়িত বলে অভিযোগ। দিনের পর দিন প্রাক্তনীরাই নবীন ছাত্রছাত্রীদের উপর জুলুম করছে বলে দাবি করেছেন অনেকে। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনাতেও ধৃতদের কেউ কেউ বহিরাগত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই বিষয়ে এখন কড়াকড়ি করেছে হোস্টেল কর্তৃপক্ষ।
যদিও একে 'কড়াকড়ি'র তকমা দিতে নারাজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তিনি বলেন, কোনও কড়া মনোভাব নয়। নিরাপত্তার জন্য যেটা জরুরি সেটাই চিন্তা ভাবনা চলছে।
গত ৯ অগাস্টের ঘটনা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের এ২ ব্লকের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় এক পড়ুয়ার।
নদিয়ার কৃতী ছাত্র ছিলেন ওই পড়ুয়া। যাদবপুরে নতুন ভর্তি হয়েছিলেন। অভিযোগ, হোস্টেলে র্যাগিংয়ের শিকার হন তিনি।