যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট এবং ছেলে ও মেয়েদের হস্টেলে সিসি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার 'ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেড'কে সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু একটি ওয়ার্ক অর্ডারে সই করেছেন। জানা গেছে আগামী সপ্তাহেই ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু হবে। সূত্রের খবর, ক্যাম্পাসের পাঁচটি গেটে ১২টি ক্যামেরা লাগানো হবে।
মূল হস্টেল (যাদবপুর থানার পাশের ছেলেদের হস্টেল) এবং মেয়েদের হস্টেলের (যাদবপুর ক্যাম্পাসে) প্রতিটি গেটে ৪টি করে ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। সল্টলেক ক্যাম্পাসের মেইন গেট, ক্যাব গেট এবং বয়েজ হোস্টেল গেটে ১১টি ক্যামেরা বসানো হবে। কাজ শুরু হবে আগামী সপ্তাহে। এবং আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যেই সিসি ক্যামেরা নজরদারি চালু হয়ে যাবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু উচ্চশিক্ষা বিভাগকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ওয়েবেল সিসি ক্যামেরা বসাতে ৩৭.০৫ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে বলে জানিয়েছে।
অন্যদিকে, গত বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কেন্দ্র অরবিন্দ ভবনের ভিতরে ঢুকতে দেখা যায় সেনার পোশাকে সজ্জিত ২০ জনকে। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল যে, এই মামলায় লালবাজারে তলব করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে। শুক্রবার লালবাজার সূত্রে জানা যায়, এই মামলায় রেজিস্ট্রারের পাশাপাশি তলব করা হচ্ছে ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কেও। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে এই মামলায় নোটিস দিতে চলেছে লালবাজার। পাশাপাশি ওই অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও।
৫ একর জায়গাজুড়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের মধ্যে রয়েছে হস্টেল, আবাসিক কোয়ার্টার, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের অফিস এবং এনসিই বেঙ্গল এবং অন্যান্য অফিস। ক্যাম্পাস সংলগ্ন যাদবপুর বিদ্যাপীঠ স্কুল রয়েছে। সুতরাং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি শুরু থেকেই প্রতিদিনের যাত্রী, অভিভাবক, মর্নিং ওয়াকার এবং প্রতিবেশী সম্প্রদায়ের একটি সাধারণ পথ হিসেবেও ব্যবহার হয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে যাদবপুর থানায়।
জানা যাচ্ছে, ওইদিন সেনার পোশাকে যাদবপুর গিয়েছিল "এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন" নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা। যার বিরুদ্ধে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা শুরু করেছে। সংগঠনের স্বঘোষিত সাধারণ সম্পাদক কাজী সাদেক হোসেনের খোঁজ মিলছে না।