কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল যাদবপুরের প্রথমবর্ষের ওই পড়ুয়ার, নাকি কেউ তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলেছিল হস্টেলের ছাদ থেকে? প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। যেকারণে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে সোমবার সেখানে হাজির হয়েছে ফরেন্সিক দল। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরাও সঙ্গে আছেন। ওই পুতুলের মাধ্যমেই সে দিনের ঘটনাপ্রবাহ নতুন করে সাজানো হচ্ছে। কীভাবে মৃত্যু? উত্তর খোঁজা হচ্ছে।
এর আগেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের হস্টেলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছিল পুলিশ। এবার নিহত পড়ুয়ার ডামি মডেল নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলেন তদন্তকারীরা। ৯ অগস্টের অভিশপ্ত রাতে ঠিক কী কী ঘটেছিল যাদবপুরের হস্টেলে সেটাই খতিয়ে দেখতেই এবার ডামি মডেলের আয়োজন বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ তদন্তকারীদের একটি দল মৃত ছাত্রের মডেল নিয়ে যাদবপুরের মেন হস্টেলে পৌঁছন। পুলিশ সূত্রের খবর, নিহত ছাত্রের উচ্চতা এবং ওজন অনুযায়ী মডেল বানানো হয়েছে। ওই মডেল দিয়েই তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে বোঝার চেষ্টা করছেন, যে সেদিন রাতে পড়ুয়া নিজে থেকে ঝাঁপ দিয়েছিল নাকি তাঁকে ওপর থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের (স্নাতক) ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় যাদবপুর। ওই ছাত্র বারান্দা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে পরের দিন ভোরে মৃত্যু হয় ছাত্রটির। ঘটনায় র্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী এবং বর্তমান ছাত্র মিলিয়ে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।