আবারও ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। একজন স্নাতকোত্তর ছাত্র মেন হস্টেলের কয়েকজন সিনিয়র ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগকারী ছাত্র কলা বিভাগের ওই ছাত্র বিভাগের ডিনকে একটি মেলে করে অভিযোগ জানিয়েছেন। ছাত্রটির অভিযোগ, হস্টেলের জন্য স্থানীয় বাজার থেকে প্রয়োজনীয় মাছ ও সবজি-সহ অন্য জিনিসপত্র কেনার দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই তাঁকে বিভিন্ন ধরণের মানসিক নির্যাতন ও হয়রানি করা হয়েছে। অভিযোগে ছাত্রটি লিখেছেন, 'আমি নিরাপদ বোধ করছি না। কারণ আমি কিছু বোর্ডারের দ্বারা শারীরিক অঙ্গভঙ্গি এবং হয়রানির শিকার হচ্ছি। আমার পক্ষে বাইরে থেকে আমার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াও সম্ভব নয়। অনুগ্রহ করে ক্যাম্পাসের অন্য হস্টেলে আমাকে থাকার ব্যবস্থা করে দিন।'
আবারও ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, 'আমি এটা শুনেছি। অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটির আহ্বায়ক বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।' অভিযোগের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে যাদবপুর ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (জুটা) সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্রুত তদন্ত এবং র্যাগিংয়ের হুমকি দূর করতে দ্রুত, কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ৯ অগাস্ট একই হোস্টেলে ব়্যাগিংয়ের শিকার হন স্নাতকের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। হস্টেলের ব্যালকনি থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জন স্নাতক ছাত্র-সহ মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে স্নাতকোত্তর ছাত্র এবং একজন পিএইচডি গবেষকও রয়েছেন। ওই ঘটনার পরে বিশ্ববিদ্যালয় ফ্যাকাল্টি সদস্যদের সমন্বয়ে অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটি গঠন করে, যারা ঘটনাটি তদন্ত করে এবং এই ধরনের ঘটনা রোধ করার উপায় সুপারিশ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির সুপারিশের প্রায় ২ মাস পর ছয় পড়ুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়। অভিযোগের নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত ওই ৬ জন ক্যাম্পাসে বা হস্টেলে ঢুকতে পারবেন না।