পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় সকলেই মোটামুটি একই রকম কথা বলছে। যাদবপুর কাণ্ডের তদন্তে ধৃতরা আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন, ধরা পড়লে তাঁরা কী বলবেন, এই সন্দেহ পুলিশে। ১৩ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে। কিন্তু ধৃতেরা কেউই তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে পুলিশসূত্রে খবর।
পুলিশসূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া ছাত্ররা সকলেই মেধাবী। কেউই ভয়ঙ্কর অপরাধী। তদন্তকারীদের সঙ্গে ওই ছাত্ররা কেউই সহযোগিতা করছেন না। যেকোনও সম্মিলিত অপরাধের ক্ষেত্রে সাধারণত অভিযুক্তদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করা হয়, কিন্তু এক্ষেত্রে তা করা হবে না। পুলিশ কৌশল পরিবর্তন করার সিদ্ধান নিয়েছে। কারণ ধৃতেরা একজন যা বলছে, সেটাই বাকিরা বলছে। তাই তাঁদের আলাদা করে জেরা করা হচ্ছে বলেই পুলিশসূত্রে খবর।
এমনকি কেউ কেউ পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলেও শোনা যাচ্ছে। ধৃতদের মধ্যে ক'য়েকজনকে লালবাজারের কেন্দ্রীয় লকআপে রয়েছেন। অন্যরা কলকাতার বিভিন্ন থানায় রয়েছেন। তবে অনেকেই লকআপে ভেঙে পড়েছেন।
গত ৯ অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টলের এ-২ ব্লকে তিন তলার বারান্দা থেকে এক ছাত্র পড়ে যান বলে দাবি। ১০ অগাস্ট ভোরে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়। র্যাগিংয়ের কারণেই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে প্রাক্তনী এবং পড়ুয়া মিলিয়ে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১২ জন যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ধৃত। শনিবার আরও এক প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার দিন হস্টেলের গেটে পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় জয়দীপ ঘোষ নামে ওই প্রাক্তনীকে।