যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রামনবমী পালনের অনুমতি দিয়েও তার প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রামনবমীর মিছিলের অনুমতি নিয়ে আগেই তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ পড়ুয়াকে রামনবমী পালনে অনুমতি দিলেও তা প্রত্যাহার করল কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসে শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই অনুমতি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে খবর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, 'কয়েকজন ছাত্র এসে আমাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে যে তারা হুমকি চিঠি পাচ্ছে। সম্প্রীতি বিঘ্নিত হতে পারে। এছাডা়ও হস্টেলে থাকা পড়ুয়াদের যাতে কোনও রকম অসুবিধায় পড়তে না হয় সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। এই বিষয়ে একটি নোটিফিকেশনও জারি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে।'
যদিও, বিজেপির অভিযোগ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির চাপেই রামনবমী পালনের অনুমতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। রাজ্য বিজেপির অভিযোগ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বামপন্থী সংগঠনগুলির চাপে ক্যাম্পাসে রামনবমী পালনের অনুমতি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে। টিএমসি এবং সিপিআইএম উভয়ই একই মুদ্রার অংশ। বাংলার পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য তাদের বিশ্বাস করা যায় না।'
এর আগেও রামমন্দির উদ্বোধনের দিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রামের পুজো এবং অযোধ্যার অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার করার আয়োজন করে কিছু পড়ুয়া। পোস্টারে কোনও উদ্যোক্তার নাম বা সংগঠনের নাম ছাড়াই সেই অনুষ্ঠান আয়োজন হয়। রামপুজোর ব্যবস্থা হয় চার নম্বর গেটের কাছে পার্কিং লটে। যদিও কর্তৃপক্ষ দাবি ছিল, এমন কোনও অনুষ্ঠানের অনুমতি তাঁদের কাছ থেকে নেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় না। তবে ছাত্রছাত্রী, হস্টেলের আবাসিকেরা ক্যাম্পাসে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটে দুর্গাপুজোও হয়। কিন্তু তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। ক্যাম্পাসের কিছু কর্মীরা এই দুর্গাপুজোর আয়োজন করে।