রাজ্য সরকারের পৃষ্টপোষকতায় বাংলায় মাফিয়ারাজ চলছে। বগটুইয়ে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে তাও তৃণমূল পরিচালিত সরকারের পৃষ্টপোষকতাতেই। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে দলের ৫ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম যে রিপোর্ট জমা দিল সেখানে উল্লেখ আছে এমনই কিছু কথা। কী কী রয়েছে সেই রিপোর্টে, দেখব একনজরে।
১) তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে, মাফিয়ারা পুলিশ এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে যোগসাজশ করে পশ্চিমবঙ্গে শাসন চলছে। আইন-শৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে।
২) পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকরা সরকার এবং তৃণমূলের উপর আস্থা হারিয়েছে। কারণ, রাজ্যে আইনের কোনও শাসন নেই। পুলিশ অফিসাররা নিজেরাই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন : 'মাফিয়ারাজ, তোলার টাকা TMC নেয়', নাড্ডাকে দেওয়া রিপোর্টের ৯ পয়েন্ট
৩) বগটুই গ্রামে সে গণহত্যা হয়েছে তা রাজ্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় হয়ে চলা তোলাবাজি, মাফিয়ারাজ, কাটমানির ফলাফল।
৪) BJP-র ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম কলকাতায় পৌঁছানোর পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেন।
৫) মুখ্যমন্ত্রীর সফরের কারণে, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের উপর আক্রমণও করে।
৬) ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের উপর হামলার সময় কোনও পুলিশ অফিসার উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি বা কোনও পদক্ষেপ করেনি। ডিজিপি এবং অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়।
৭) জানা গেছে, বগটুইয়ে ঘটনার দিন পুলিশ ঘটনাস্থলের কাছাকাছি ছিল। কিন্তু তাদের জানানোর পরও তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেনি। এমনকী আগুন নেভানোর জন্য দমকল বাহিনীকেও ঘটনাস্থলে পৌঁছতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারা সময়মতো হস্তক্ষেপ করতে পারলে অনেকের প্রাণ বাঁচানো যেত।
৮) স্থানীয় বাসিন্দারা প্রাণের ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। এই নিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশন এবং জাতীয় মহিলা ও শিশু অধিকার কমিশন পুলিশকে সুপারিশ করেছে। যাতে গ্রামের মানুষ বসবাস করতে পারে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে।
৯) পশ্চিমবঙ্গে কর্মরত অফিসাররা যাতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাগুলি মেনে চলে কাজ করতে পারে সেই ব্যাপারে তাদের সতর্ক করা দরকার বলে আমরা মনে করি।