বনধে সামিল হলে কি কর্মজীবনে ছেদ পড়বে ? সেই সংক্রান্ত এক মামলায় ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারি কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে মহার্ঘ ভাতার দাবি করে আসছেন। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সরকার এখন সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে। শহিদ মিনারে আন্দোলনও করছেন সরকারি কর্মীরা। এরই মধ্যে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ডিএ নিয়ে মন্তব্য করলেন।
সোমবার একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে বলেন, 'ডিএ মিটিয়ে দিন না। তাহলেই তো ঝামেলা মিটে যায়।' ডিএ-র দাবিতে বনধ ডেকেছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সেই বনধে সামিল হন হাওড়ার শিক্ষক অমিতকুমার ঘোষ। অভিযোগ, এরপরই ওই শিক্ষককে শোকজ করা হয় ও বদলির নোটিশ ধরানো হয়। শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই শিক্ষক। সেই মামলার শুনানিতেই ডিএ নিয়ে মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন : 'ডিএ আবশ্যিক নয়, অপশন', জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
ওই শিক্ষক অমিতবাবুর দাবি, গত ১০ মার্চ বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে তিনি বনধে সামিল হন। এরপর ১৪ এপ্রিল তাঁকে শোকজ করা হয়। ২৫ এপ্রিল তাঁকে প্রশাসনিক কারণে এবং জেলার শিক্ষার উন্নতির জন্য বদলি করা হচ্ছে মর্মে নোটিস পাঠানো হয়। সেই কারণেই তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন।
আরও পড়ুন : ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল কেন ? সামনে এল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়
এদিনের শুনানিতে মাননীয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, বনধে সামিল হলে কোনও কর্মীর কর্মজীবনে ছেদ পড়বে। কীভাবে এবং কোন আইন বলে এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল ? এরপরই বদলির নোটিসের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জানায় আদালত।
আরও পড়ুন : 'সরকারি কর্মীদের বেতন কাটার হুঁশিয়ারি', মন্ত্রী অখিলের বিরুদ্ধে এবার চরম পদক্ষেপ
উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে বনধে শামিল হন ওই শিক্ষক। এরপর ১৪ এপ্রিল তাঁকে শোকজ করা হয়। ডিএ আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, শুধুমাত্র ওই শিক্ষককে নয়, এমন অনেকে শোকজ করে রাজ্য। বদলিও করে।