Advertisement

Bhuban Badyakar: 'নিঃস্ব' ভুবন বাদ্যকর জীবনে খুশির জোয়ার, পাচ্ছেন লাখ লাখ টাকা

ভুবন বাদ্যকরের জীবনে সুদিন ফিরতে চলেছে। কাঁচা বাদাম-এর গায়ক ফিরে পেতে চলেছেন তাঁর গানের কপিরাইট। শুধু তাই নয়, এতদিন গানের স্বত্বঃ না থাকার কারণে যে লোকসান তাঁর হয়েছে সেই টাকাও ফেরত পাবেন তিনি।

bhuban badyakar
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 25 Sep 2024,
  • अपडेटेड 4:43 PM IST
  • ভুবন বাদ্যকরের জীবনে সুদিন ফিরতে চলেছে
  • কাঁচা বাদাম-এর গায়ক ফিরে পেতে চলেছেন তাঁর গানের কপিরাইট
  • শুধু তাই নয়, এতদিন গানের স্বত্বঃ না থাকার কারণে যে লোকসান তাঁর হয়েছে সেই টাকাও ফেরত পাবেন তিনি

'বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম' গানটি গেয়ে বিখ্যাত হয়েছিলেন গায়ক ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar)। বীরভূমের কুড়ালজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা ভুবনকে বিশ্বজোড়া খ্যাতি এনে দিয়েছিল এই গান। গান থেকে লাখ লাখ টাকা আয় করেছিলেন তিনি। পেতেন অনুষ্ঠানের ডাকও। তবে সেই ভুবন প্রতারিত হন। 'বাদাম বাদাম গান'-টির কপিরাইট হারান। ভুবনের অভিযোগ ছিল তাঁকে ভুল বুঝিয়ে অল্প টাকার বিনিময়ে কপি রাইট লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। সমস্যার সমাধানে তিনি পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছিলেন। যে ভুবন চারচাকা গাড়ি কিনেছিলেন, হাতে আইফোন নিয়ে ঘুরতেন, সেই ভুবনের জীবনে অন্ধকারও নেমে আসে হঠাৎই। যেভাবে খ্যাতি পেয়েছিলেন সেভাবে আচমকা নিঃস্ব হয়ে যান। গান বানিয়ে উপার্জিত টাকায় ইমারত তৈরি করতে শুরু করেছিলেন। তার কাজও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। একসময় তো গ্রাম থেকে পালিয়ে বীরভূমের এক ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিলেন। অনেকে সেই সময় বলেছিলেন, 'ভুবন পালিয়ে বেড়াচ্ছে।' 

তবে ভুবন বাদ্যকরের জীবনে সুদিন ফিরতে চলেছে। কাঁচা বাদাম-এর গায়ক ফিরে পেতে চলেছেন তাঁর গানের কপিরাইট। শুধু তাই নয়, এতদিন গানের স্বত্বঃ না থাকার কারণে যে লোকসান তাঁর হয়েছে সেই টাকাও ফেরত পাবেন তিনি। টাকার অঙ্কটা নেহাত কম নয়। জানা যাচ্ছে সেই টাকার অঙ্কটা প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ বা তার বেশি। 

এই বিষয়ে ভুবন বাদ্যকর bangla.aajtak.in-কে জানান, আইনি সমস্যায় এতদিন গানের কপিরাইট তিনি ফিরে পাননি। তবে এবার জটিলতা মিটেছে। এখনও তিনি নিজের লেখা গান গাইতে পারেন না। তবে এবার থেকে পারবেন। আগামী বছরের জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাস থেকে গান ফিরে পাবেন। আগের মতো গাইতে পারবেন স্টেজে। এক থোক টাকাও আসবে হাতে। ভুবনের কথায়, 'এখনই টাকার অঙ্কটা বলতে পারছি না। তবে ৩০-৩৫ লাখ টাকার বেশিই হবে। মিমাংসা হয়ে গিয়েছে। পুলিশ সক্রিয়ভাবে কাজটা করেছে। সেজন্য পুলিশকে ধন্যবাদ। আবার সুদিন ফিরে আসবে। নিজের গান গাইতে না পেরে এতদিন নিজেকো বোবা মনে হচ্ছিল। ভগবান মুখ তুলে তাকিয়েছেন।' 

Advertisement

এখন তাহলে কীভাবে সংসার চলে ভুবন বাদ্যকরের? গায়ক বলেন, 'কাঁচা বাদাম গানের কপিরাইট হারিয়ে যাওয়ার পর পথে বসেছিলাম কার্যত। তবে জীবন তো চালাতে হবে। সেই কারণে একাধিক নতুন গান তখন বেঁধেছিলাম। সেই গান করি। অনুষ্ঠানে ডাক আসে। আমি আর আমার স্ত্রী দুজনে মিলে স্টেজ করি। তাতে সংসার চলে যায়। বীরভূম, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর সহ নানা জেলা থেকে অনুষ্ঠানের জন্য ডাক আসে। সেখান থেকেই যে উপার্জন আসে। তাতে সংসার চলে যায়।' 

অনেকের কাছে হাত পাতেন ভুবন

ভুবন বাদ্যকরের গান ভাইরাল হওয়ার পর থেকে তাঁর গানে রিলস বানিয়ে বহু সেলেব ও ইউটিউবার ভাইরাল হয়েছিলেন। বিদেশের অনেক নামজাদা তারকাও ছিলেন সেই তালিকায়। আমাদের দেশে অঞ্জলি আরোরা নামের এক যুবতী কাঁচা বাদাম গানে গেয়ে ভাইরাল হন। বহু টাকা উপার্জনও করেছিলেন তিনি। শোনা যায় ওই এক গান অঞ্জলীর ভাগ্য বদলে দিয়েছিল। সেই যুবতীর কাছে অর্থ সাহায্য চেয়েছিলেন গায়ক। এছাড়াও যাঁরাই জনপ্রিয় হয়েছিলেন তাঁদের কাছেও হাত পেতেছিলেন ভুবন।

গান ছেড়ে বাদাম বিক্রির পরিকল্পনা 

ভুবন বাদ্যকরের অর্থনৈতিক অবস্থা এক সময় এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে, তিনি নতুন করে বাদাম বিক্রির পরিকল্পনা শুরু করেছিলেন। গানের কপিরাইট চলে যাওয়ার পর তিনি আর কোথাও গান গাওয়ার ডাক পাচ্ছিলেন না। সেই সময় বলেছিলেন, 'গানের জন্য কেউ আর ডাকে না। সেজন্য এখন ঠিক করেছি গান আর গাইব না। আগের মতো কাঁচা বাদামই বিক্রি করব।'

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম ভুবন বাদ্যকরের গান ভাইরাল হয়।  মানুষের মুখে মুখে ফিরতে থাকে সেই গান। সেই সময় ইলামবাজারের গোপাল ঘোষ ভুবন বাদ্যকরের কাছে গানের কপিরাইট লিখিয়ে নেন। ভুবন বাদ্যকর দাবি করেন, তাঁর কোটি কোটি টাকার কপিরাইট মাত্র ৩ লাখ টাকায় লিখিয়ে নিয়েছে গোপাল ঘোষ। এবার সেই টাকা ফেরত পেতে চলেছেন ভুবন। 


Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement