KMC Election: কলকাতা পুরভোট (KMC Election)-এ ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি (BJP) প্রার্থী করেছিল মমতাজ আলিকে। তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দু'দিন পরই তা প্রত্যাহার করে নেন। হাঁপুস নয়নে নাম তুলে নেন তিনি। কী সেই কারণ, জানালেন তিনি। এর পাশাপাশি দলের নেতাদের সমালোচনা করেন।
অনেক বুঝিয়ে ইলেকশন এজেন্ট
মঙ্গলবার তিনি জানান, নাম প্রত্যাহার করতে যাননি। যেদিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন কতজন সঙ্গে গিয়েছিলেন জানেন? একজন। তিনি আমার ইলেকশন এজেন্ট। আমি নিজে ঠিক করি তাঁকে।
তাঁর দাবি, অনেক ভয় পেয়েছিল। অনেক বুঝিয়ে তাঁকে রাজি করাই। তা হয়ে গেল। কেউ ফোন ধরেন না। না জেলার লোক, না রাজ্যের।
দেরিতে ঘোষণা
তিনি আরও জানান, এত লেটে ঘোষণা করেছে, কিছু করা যাবে না। ২ তারিখ যখন যাই স্ক্রুটিনির দিন, আমার কাছে কোনও লোক নেই। আমি একা। এমনকী ওইদিন আমার এজেন্টও আসেনি। চুপচাপ বেরিয়ে গেলাম কাগজপত্র নিয়ে।
দলের কেউ নেই
বাকি দলের কর্মীদের ভিড় দেখে খারাপ লেগেছিল তাঁর। তিনি জানান, ওখানে যখন বাকি দলকে দেখছি, এত কষ্ট হয়। মনে হচ্ছিল আমার কেউ নেই। বলে বোঝাতে পারব না। আমার পৃথিবীটা শেষ। এত অসহায় চালগিল। সেই কষ্টে চোখ থেকে জল চলে এসেছিল। স্ক্রুটিনিতে ঢুকিনি। বাইরের সিঁড়িতে বসেছিলাম কিছুক্ষণ।
তিনি আরও জানান, সেখানে থাকা এক পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসা করি, উইথড্র কখন করে আর কীভাবে করতে হয়। তিনি জানান, আজ বন্ধ। পরে জানলাম বেলা এর আগেও ভোটে লড়েছি। কখনও উইথড্র করিনি।
খোঁজ রাখে না দল
তাঁর দাবি, উইথড্র করেছি, সেটা দলের কেউ জানে না। ৬ তারিখে আমার কাছে ফোন আসে, তুমি কি উইথড্র করেছ? মহিলা মোর্চার অগ্নিমিত্রা পালের ফোন আসে। বলছেন, মমতাজ দা বাড়িতে আছেন? উনি মহিলা হয়ে, সিভি দেখছে মহিলার ফটো, তারপরও বলছে আমি দাদা!
তাঁর তোপ, তার মানে কোনও গুরুত্বই দেয় না। আমি চেয়েছিলাম ১৩৩-এ দাও। নয় বাতিল করে দাও। না জানিয়ে এই ওয়ার্ডে দাঁড় করিয়েছে।
তিনি বলেন, আমাকে কমার্স নিয়ে পড়েছি, সায়েন্স নিয়ে পড়েছি, পাশ করব? ইচ্ছা করে এমন করা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কতটা আছো, দেখাই যাচ্ছে।
তিনি কি দল ছাড়ছেন? এ ব্যাপারে জানান, বিজেপিতে আপাতত আছি। কতক্ষণ থাকব ভাবতে হবে। ২ তারিখে উইথড্র করেছি, ৬ তারিখে খবর নিল। তৃণমূলে যাব না সিপিআইএমে, বিজেপিতেও থাকতে পারি। এখানে কাজই তো করতে দিচ্ছে না। কাজ করব নেমে তা সাহায্য পাচ্ছি কোথায়? কেউ খবরও নেয় না। সবাই নেতা।