KMC Polls: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। রাজ্যকে অশান্ত করার জন্য প্রধান বিরোধী দলের সমস্ত চক্রান্ত ব্যর্থ করে অখণ্ড শান্তি স্থাপিত হয়েছে পাহাড় থেকে সমতলে। দাবি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের।
নিরাপত্তা
তার ভিত্তিতে খোঁজখবর করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (WB State Election Commission)। পুলিশ-প্রশাসন থেকে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে অনেকটা একই রকম। তাই কলকাতা পুরসভার নির্বাচন (KMC Polls)-এ নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশের হাতেই রাখতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সোমবার সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। কমিশন সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে।
শান্তিতে ভোট করাতে বদ্ধপরিকর
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee) যখন অবাধ পুরনির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেখানে অশান্তির কোনও সম্ভাবনা রুখতে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়েই ঝাঁপাবে প্রশাসন। কমিশন (WB State Election Commission)-ও কোনও ত্রুটি রাখতে চায় না।
জমা পড়েছে ব্লু প্রিন্ট
পুরভোট (KMC Polls)-এ কী ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা হবে প্রশাসনের তরফে সেই ব্লু প্রিন্ট আজই জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। তারপরেই বিস্তারিত আলোচনা হবে এই বিষয়ে। শুক্রবার কলকাতার যুগ্ম-কমিশনারের সদরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। তার ভিত্তিতেই এদিন কমিশনের কাছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত খুটিনাটি তথ্য সমন্বিত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
তার ভিত্তিতেই সোমবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকে বসবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (WB State Election Commission)। জানা গিয়েছে, রিপোর্টে কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে মোট ৩২ হাজার পুলিশ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কলকাতা পুলিশ থাকবে ২৭ হাজার এবং রাজ্য পুলিশ থাকবে ৫ হাজার।
গতবার যা ছিল
শেষবার কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে এই একই সংখ্যক বাহিনী ছিল বলে খবর রাজ্য নির্বাচন কমিশন (WB State Election Commission) সূত্রে। তবে যেহেতু এবার বুথের সংখ্যা বেড়েছে, তাই এবার পুলিশের সংখ্যাও বাড়বে। প্রতি বুথে একজন করে এসআই (SI) একজন করে এএসআই (ASI) এবং দুজন করে সশস্ত্র পুলিশ থাকবে।
সোমবার সিদ্ধান্ত
তবে বাহিনীর এই সংখ্যা চূড়ান্ত হবে সোমবার। ওই দিন রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন থেকে শুরু করে ভোটের যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হবে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।