তিলোত্তমার বিচার চেয়ে আন্দোলনকারীদের রাত দখলের দিনেই কলকাতায় আবারও প্রকাশ্যে চলল গুলি। রবিবার রাতে বাবুঘাট এলাকায় এই গুলিকাণ্ড ঘটেছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। স্থানীয়দের দাবি, বালি কেনা নিয়ে গণ্ডগোল চলছিল। সেই গণ্ডগোলের জেরেই একপক্ষ গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হন একজন। গুলি চালানোর কথা জানতে পেরেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে আতহরা এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে ভর্তি রয়েছেন।
বাবুঘাট এলাকার বাজেকদমতলা ঘাটে রবিবার রাত ২টো নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে খবর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ লরিচালকের নাম কান্তি সিংহ। তিনি হাওড়ার বাসিন্দা। ওই ব্যক্তি বালিবাহী লরি চালাতেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সেই বালির দরকষাকষি করতে গিয়েই বচসায় জড়িয়ে পড়েন। মনে করা হচ্ছে, তার জেরে লরিচালককে গুলি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিশদে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় ব্যবসায়ী অজিত রায় ও তার লিরচালককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে আতহরা এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে ভর্তি রয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, বচসার জেরে কয়েক রাউন্ড গুলি চলে। এই ঘটনার তদন্ত করছে ময়দান থানা ও নর্থ পোর্ট থানার পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি তারা। এদিকে গুলি চালানোর ঘটনা ঘিরে হাসপাতালে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে আহতদের পরিবারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার বিভাগের গেটের কাচ ভেঙে দিয়েছে আহতদের পরিবার।
ঘটনার তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তার মাধ্যমে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা যাবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা। রাতের কলকাতায় গুলি চলায় শহরের নিরাপত্তা নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। ঘটনায় আসিফ আলী নামে তোপসিয়া এলাকার একজন কুখ্যাত প্রোমোটার তার গ্যাং-এর দিকে অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে।
এদিকে শিনবার রাতে নিউটাউনে গুলি করে এক ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউনের ইকো পার্কের কাছে। মৃত ওই ব্যবসায়ীর নাম নাসিমুদ্দিন খান। তিনি ভাঙড়ের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে শনিবার রাতে ইকো পার্কের সামনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন ওই ব্যবসায়ী। হঠাৎ সেখানে একটি বাইকে করে হাজির হয় দুই দুষ্কৃতী। অভিযোগ, তারপরই নাসিমুদ্দিনকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেন তারা। কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর পর সেখান থেকে চম্পট দেয় ২ হামলাকারী। এরপর স্থানীয়রা গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে হাজির হন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাসিমুদ্দিনকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তাঁর মৃত্যু হয়।