কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজের মর্মান্তিক ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, এক আদর্শ ভারতীয় মহিলা, যাঁর সম্পর্কে পরিবারের প্রত্যেক সদস্য গর্ববোধ করত, এমনই ছিলেন ওই চিকিৎসক-ছাত্রী। তাঁর মৃত্যুর খবরে যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে পরিবারের মাথায়। কাকু চোখের জল ধরে রাখতে পারছেন না। কেঁদে বললেন, "এমবিবিএস করার পর আমরা তাঁকে 'ডাক্তার সাহেব' বলে ডাকতাম। খুব পড়াশোনা করত, বাগান করার শখ ছিল, পশুপাখি খুব ভালোবাসত, খুব নরম মন ও বিনয়ী স্বভাবের ছিল আমাদের ভাইজি।"
এই মর্মান্তিক ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে, এমন কিছু ঘটতে পারে। পরিবারের প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, তাঁদের মেয়ে ছিল একজন আদর্শ ভারতীয় মহিলা। পোশাক-আশাকের দিক দিয়ে কখনোই কেউ আঙুল তুলতে পারেনি তাঁর ওপর। তিনি ছিলেন শান্ত স্বভাবের, অমায়িক, সবার প্রিয়। তাঁর পড়াশোনার প্রতি নিষ্ঠা, বাগান করার শখ, এবং পশুপাখির প্রতি ভালোবাসা তাঁকে সবার থেকে আলাদা করে তুলেছিল।
কাকু আরও বলেন, "মেয়েকে পড়াতে দাদা অনেক সংগ্রাম করেছে। সে নিজেও অনেক পরিশ্রম করেছে। আমি ৮ তারিখ দিল্লী থেকে এসেছি, রাতে ঘুমাতে দেরি হয়ে গেছে। সকালে হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি, কিছু একটা হয়েছে। হাসপাতাল জানায়, সে আত্মহত্যা করেছে। আমরা জীবনেও এমন ভাবিনি। যা ঘটেছে তা দেখে আমরা ভেঙে পড়েছি।"
এই ঘটনায় পরিবারের সবাই শোকাহত, কাকুর কথায়, "আমি একটি মেয়ের বাবা, সে আমার মেয়ের চেয়ে এক বছরের বড়। বাড়িতে এবছর দুর্গাপুজো করার পরিকল্পনা ছিল তার।" তবে সেই সব পরিকল্পনা আর কোনও দিনও পূরণ হবে না। দুর্গাপূজার আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে।
পরিবারের এই ভেঙে পড়া অবস্থা দেখলে যে কেউ শোকাহত হবে। তাদের আদরের মেয়েকে হারিয়ে শোকাচ্ছন্ন পরিবার এখন ন্যায়ের প্রতীক্ষায় রয়েছে। তাঁদের প্রিয়জনের প্রতি ঘটে যাওয়া এই নির্মম ঘটনায় বিচার চাইছে গোটা দেশ। পুলিশের তদন্ত এবং আইনের কঠোর ব্যবস্থাই তাদের একমাত্র ভরসা।