কলকাতা মেট্রোর অরেঞ্জ লাইনের কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় পর্যন্ত অংশের তৃতীয় স্টেশন চালুর ঘোষণা করল কর্তৃপক্ষ। নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত মেট্রো লাইনে পরিষেবা শুরু হয়ে গেলে প্রচুর মানুষ জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী স্টেশন থেকে ওঠানামা করবেন। উপকৃত হবেন দক্ষিণ শহরতলির সন্তোষপুর, মুকুন্দপুর, পূর্বালোক, অজয়নগরের মতো এলাকার মানুষ। সেইসঙ্গে সহজেই মুকুন্দপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে যেতে পারবেন। কিশোরভারতী স্টেডিয়ামেও সহজে পৌঁছাতে পারবেন মানুষ।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, মোট আটটি এসকেলেটর, চারটি লিফট এবং ছ'টি সিঁড়ি আছে। মোট দুটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটির দৈর্ঘ্য ১৮০ মিটার। যাত্রীদের সুবিধার্থে শৌচাগার, টিকিট কাউন্টার, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড আছে। সেইসঙ্গে বিভিন্নরকম মেট্রো স্টেশনের দেওয়ালে বিভিন্নরকমের ম্যুরাল এবং ছবি আঁকা হয়েছে।
নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো করিডরের (অরেঞ্জ লাইন) নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত অংশে পরিষেবা শুরু হবে। ইতিমধ্যে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির ছাড়পত্র এসে গিয়েছে। কিন্তু এখনও ওই লাইনে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু হয়নি। মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, খুব শীঘ্রই পরিষেবা শুরু হবে।
আরও পড়ুন-কলকাতা বিমানবন্দরে অন্তর্বাস খুললেন পুরুষ, উদ্ধার ৩ কোটি টাকার সোনা
এমনিতে কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া) থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো করিডরের দৈর্ঘ্য ৩২ কিলোমিটার। প্রাথমিকভাবে ৫.৪ কিমি অংশে পরিষেবা শুরু করা হবে। ওই অংশে মোট পাঁচটি স্টেশন আছে। সেগুলি হল- কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া), সত্যজিৎ রায় (হাইল্যান্ড পার্ক), জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী (অজয়নগর এলাকা), কবি সুকান্ত (অভিষিক্তা ক্রসিং) এবং হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি মোড়)।
অরেঞ্জ লাইনের পাঁচটি মেট্রো স্টেশন, অর্থাৎ কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় প্রসারিত হচ্ছে। যা শীঘ্রই চালু হবে। এবার ফের শহর পেল বিখ্যাত বাঙালি লেখক জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর নামে একটি মেট্রো স্টেশন। এই স্টেশনটি রোগী ও তাঁদের স্বজনদের দীর্ঘদিনের দাবিও পূরণ করবে কারণ নিকটবর্তী মুকুন্দপুর এলাকায় কয়েকটি বিশিষ্ট বেসরকারি হাসপাতাল অবস্থিত।
কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গন হল একটি বহুমুখী স্টেডিয়াম যা মূলত ফুটবল ম্যাচের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেটি এই স্টেশনের কাছেই অবস্থিত। তাই এখানে নামার পর সহজেই স্টেডিয়ামে পৌঁছাতে পারবেন ফুটবলপ্রেমীরা। জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী স্টেশন রেডি, অপেক্ষা এখন যাত্রীদের স্বাগত জানানোর।