আগামী সোমবার থেকে রাত ১১টার বদলে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে চলবে রাতের শেষ মেট্রো। নৈশ-পরিষেবার সময় ২০ মিনিট এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই সময়ে কোনও স্টেশনে টোকেন, স্মার্ট কার্ড ইত্যাদি বিক্রির জন্য কোনও টিকিট কাউন্টার খোলা থাকবে না। অর্থাৎ, স্মার্ট কার্ড ব্যবহারকারীরাই এই স্পেশাল মেট্রো পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন। তাছাড়া ইউপিআই পেমেন্ট মোড ব্যবহার করে সমস্ত স্টেশনে বসানো ASCRM মেশিন থেকে টোকেন কাটতে পারবেন যাত্রীরা।
এই পরীক্ষামূলক রাতের পরিষেবাগুলি সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত থাকবে এবং সমস্ত স্টেশনে থামবে৷ কোনও স্টেশনে টোকেন, স্মার্ট কার্ড ইত্যাদি দেওয়ার জন্য কোনও টিকিট কাউন্টার খোলা থাকবে না। যাত্রীদের UPI পেমেন্ট মোড ব্যবহার করে সমস্ত স্টেশনে ইনস্টল করা ASCRM মেশিন থেকে টোকেন কেনার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। মেট্রো স্মার্ট কার্ড থাকা যাত্রীরাও চড়তে পারবেন।
যাত্রীদের সুবিধার্থে মেট্রো কর্তৃপক্ষ বেশিরভাগ স্টেশনে আরও গেট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নেতাজি, মাস্টারদা সূর্য সেন, গীতাঞ্জলি, কবি নজরুল, শহিদ ক্ষুদিরাম এবং কবি সুভাষের মতো স্টেশনগুলিতে, এই পরিষেবাগুলি পেতে ইচ্ছুক যাত্রীদের জন্য সব গেট খোলা থাকে।
দমদম, বেলগাছিয়া, গিরিশ পার্ক, মহাত্মা গান্ধী রোড, ময়দান এবং মহানায়ক উত্তম কুমারের মতো স্টেশনগুলিতে ৬০% এরও বেশি গেট খোলা রয়েছে। শ্যামবাজার, শোভাবাজার-সুতানুটি, চাঁদনি চক, পার্ক স্ট্রিট, রবীন্দ্র সদন, নেতাজি ভবন এবং রবীন্দ্র সরোবরের মতো স্টেশনগুলিতে, যাত্রীদের দ্রুত এবং সহজে প্রবেশ এবং প্রস্থান করার জন্য এই পরীক্ষামূলক পরিষেবাগুলির জন্য ৫০% গেট খোলা রয়েছে। প্রায় এক মাস ধরে চালানো এই পরীক্ষামূলক দৌড়ে দেখা গেছে যে সেন্ট্রাল, এসপ্ল্যানেড, পার্ক স্ট্রিট, ময়দান, নেতাজি ভবন, যতীন দাস পার্ক, গীতাঞ্জলি এবং সহিদ ক্ষুদিরামের মতো স্টেশনগুলিতে গড় যাত্রী সংখ্যা মাত্র ১০ জনের কাছাকাছি। তা সত্ত্বেও যাত্রীদের জন্য আরও গেট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। স্টেশনগুলিতে যাত্রীদের পরিসংখ্যান পর্যবেক্ষণ করছে এবং পরিস্থিতির প্রয়োজন হলে যাত্রীদের সুবিধার্থে ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মেট্রো।
পরীক্ষামূলক রাতের পরিষেবাগুলির জন্য বিভিন্ন ব্লু লাইন স্টেশনগুলির নিম্নলিখিত গেটগুলি খোলা থাকবে -
১. দমদম - গেট নং ১ (উত্তর পাশের গেট) এবং গেট নং ৪ (দক্ষিণ পাশের গেট)
২. বেলগাছিয়া – গেট নং ১ (দুধ কলোনী গেট) এবং গেট নং ৩ (রাজবাড়ী গেট)
৩. শ্যামবাজার- গেট নং ১ (ফাইভ পয়েন্ট ক্রসিং) এবং গেট নং ৪ (ভুপেন বোস এভিনিউ)
৪. শোভাবাজার-সুতানুটি - গেট নং ১ (গ্রে স্ট্রিট গেট) এবং গেট নং ৩ (লাল মন্দির গেট)
৫. গিরিশ পার্ক - গেট নং ১ এবং গেট নং ৩
৬. মহাত্মা গান্ধী রোড – গেট নং ১ (মহাজাতি সদন গেট) এবং গেট নং ২ (মেচুয়া গেট)
৭. সেন্ট্রোল- গেট নং ২ (লাল বাজার গেট), গেট নং ৪ (লোরেটো স্কুল গেট) এবং গেট নং ৬ (মেডিকেল কলেজ গেট)
৮. চাঁদনি চক – গেট নং ১ (হিন্দুস্তান বিল্ডিং গেট), গেট নং ৪ (যোগযোগ ভবন গেট) এবং গেট নং ৫ (এয়ারলাইন্স গেট)
৯. এসপ্ল্যানেড - গেট নং ১ (রানি রাশমনি গেট), গেট নং ২ এবং গেট নং ৫
১০. পার্ক স্ট্রিট – গেট নং ১ (মিউজিয়াম গেট), গেট নং ২ এবং গেট নং ৩
১১. ময়দান- গেট নং ১ (ইলিয়ট পার্ক গেট) এবং গেট নং ২ (জীবন দীপ গেট)
১২. রবীন্দ্র সদন - গেট নং ২ (নন্দন গেট) এবং গেট নং ৩ (সংরক্ষণ গেট)
১৩. নেতাজি ভবন- গেট নং ২ (আশুতোষ মুখার্জি রোড গেট) এবং গেট নং ৪ (জগুবাবুর বাজার গেট)
১৪. যতীন দাস পার্ক – গেট নং ১ (হাজরা মোড় গেট), গেট নং ৩ (ক্যান্সার হাসপাতালের গেট) এবং গেট নং ৫ (উত্তম মঞ্চ গেট)
১৪. কালীঘাট – গেট নং ১ (কালী মন্দির গেট), গেট নং ৩ (টালিগঞ্জ অটো স্ট্যান্ড গেট) এবং গেট নং ৪
১৬. রবীন্দ্র সরোবর - গেট নং ১ (মেইন গেট, পূর্ব রেল গেটের বিপরীতে) এবং গেট নং ৬
১৭. মহানায়ক উত্তম কুমার – গেট নং ১ এবং গেট নং ২ (মেইন গেট)
১৮. নেতাজি- সব গেট
১৯. মাস্টারদা সূর্য সেন- সব গেট
২০. গীতাঞ্জলি - সব গেট
২১. কবি নজরুল – সব গেট
২২. শহিদ কুধিরাম- সব গেট
২৩. কবি সুভাষ - সব গেট