অবশেষে স্বাভাবিক হল মেট্রো পরিষেবা। সকালে মেট্রো চালু হলেও ৭টা ৫১ মিনিটে গিরিশ পার্ক থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। আপ এবং ডাউন, কোনও দিকেই মেট্রো চলছিল না ওই অংশে। ফলে যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। তবে প্রায় ৪ ঘণ্টা ১৮ মিনিট পর গিরিশ পার্ক থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।
বিভিন্ন প্রতিবেদনে প্রকাশ, পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে জল জমে ছিল। মেট্রো পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ১২টা ০৫ মিনিট নাগাদ কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হয়। আপ ও ডাউন দু’দিকেই মেট্রো পরিষেবা চালু করা হয়। রাতভর বৃষ্টির কারণে এদিন সকালে পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে জম জমতে শুরু করে। সেই স্টেশনের প্রবেশ পথের সিঁড়ি দিয়ে হু হু করে জল ঢোকে। যার জেরে স্টেশনের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে যাত্রীদের অসন্তোষ বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি দেখে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ আসরে নামে। পাম্পের সাহায্যে জল বের করার কাজ শুরু হয়। যে যে এলাকাগুলো দিয়ে জল ঢুকছিল, সেই সব জায়গাগুলো মেরামত করা হয়। তারপরই মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে পরিষেবা চালু করল কলকাতা বিমানবন্দরও। ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে প্রায় ২১ ঘণ্টা বন্ধ ছিল বিমান চলাচল। সময়সীমা শেষ হতেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে পোর্ট ব্লেয়ারের উদ্দেশে রওনা দিল বেসরকারি বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর বিমান। যদিও বিমাবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ২১ ঘণ্টা পর থেকে বিমান চালু হবে।
আবার শিয়ালদা ও হাওড়া থেকে সব লোকাল চালু হয়েছে বলে খবর। রাতভর বৃষ্টির কারণে ট্রেন পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছিল। কোথাও ট্রেনের তার ছিঁড়ে যায় আবার কোথাও লাইনে গাছ ভেঙে পড়ে। তবে সেই সব মেরামত করে ট্রেন চালানো শুরু হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, হাওড়া ও শিয়ালদা শাখার সব ট্রেনই অন্য দিনের মতো স্বাভাবিক থাকবে। সেই মোতাবেক শিয়ালদা ও হাওড়া শাখা থেকে সব লোকালই চলছে বলে খবর।