Advertisement

Kolkata Model : ফাইনালে সেঞ্চুরি করা ট্রাভিস-কে 'বিয়ে' কলকাতার মডেলের, জুটল দেশদ্রোহী তকমা

বিশ্বকাপ ফাইনালে টিম ইন্ডিয়াকে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতকে হারানোর অন্যতম কারিগর অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করেন তিনি। আর সেই ট্রাভিস হেড-কে 'বিয়ে' করলেন কলকাতার মডেল হেমশ্রী ভদ্র। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়।

Travis head and kolkata model Hemoshree Bhadra
সৌমেন কর্মকার
  • কলকাতা,
  • 21 Nov 2023,
  • अपडेटेड 5:49 PM IST
  • ট্রাভিস হেড-কে ভার্চুয়ালি বিয়ে কলকাতার মডেলের
  • তারপরই পেলেন দেশদ্রোহী তকমা

বিশ্বকাপ ফাইনালে টিম ইন্ডিয়াকে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতকে হারানোর অন্যতম কারিগর অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করেন তিনি। আর সেই ট্রাভিস হেড-কে 'বিয়ে' করলেন কলকাতার মডেল হেমশ্রী ভদ্র। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। 

যদিও এই বিয়ে আসল নয়। ভার্চুয়ালি। তবুও শাঁখ বাজিয়ে, উলু দিয়ে ভার্চুয়ালি বিয়ে সারেন হেমশ্রী। সিঁদুর পরে, হেডের ছবি হাতে নিয়ে তাঁকে ভার্চুয়ালি 'বিয়ে' করেন ওই যুবতী। কিন্তু তা যে অবশেষে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে তা তিনি মোটেও ভাবেননি। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই এখন বিপদে পড়েছেন তিনি। তাঁকে দেশদ্রোহী তকমাও দিচ্ছেন নেটিজেনরা। 

হেমশ্রী ভদ্র বলেন, 'বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরমেন্সের পর ট্রাভিস আমার মন জয় করে নিয়েছে। সেজন্য বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরই টিভির সামনে থেকে উঠে গিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ট্রাভিসকে ভার্চুয়ালি 'বিয়ে' করে ফেলি। সেই ভিডিও পোস্ট করতেই তা ভাইরাল হয়।' 

বিপাকে কলকাতার মডেল

তবে সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই তাঁকে লক্ষ্য করে কটূক্তি আসতে শুরু করে। যা নিয়ে বেশ বিচলিত সেই মডেল। bangla.aajtak.in-কে তিনি জানান, ' 'আমার খুব খারাপ লাগল,এটা দেখে যে আমার সেই ভিডিও পোস্টের পর একের পর এক নেটিজেন অশ্লীল মন্তব্য করতে শুরু করেন। প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। আমি খুব বিচলিত এতে। অস্ট্রেলিয়ার ওই খেলোয়াড়কে তো সত্যিই বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই মজা করেছিলাম। সেটা মানুষ এভাবে নেবে তা ভাবিনি।' 

 তাঁর আরও সংযোজন, 'আমাকে একা নয়, এভাবে অনেককে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এটা তো কাম্য নয়। খেলাটা খেলার মতোই নেওয়া উচিত। আমরা ছোটোবেলায় পড়েছি ভাতৃত্ববোধ বাড়ানোর জন্য খেলার আয়োজন করা হয়। তবে আজকের মানুষ কেন এত প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে উঠছে?' 

Advertisement

 

 

তিনি আরও বলেন, 'যদি অস্ট্রেলিয়ার একজন ক্রিকেটারকে সমর্থন করলেই দেশদ্রোহী হয়ে যেতে হয় তবে তো খুব মুশকিল সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি। লক্ষ লক্ষ লোক আমায় ভিডিওটি সরিয়ে নিতে বললেও আমি তা সরাব না। বরং হয়তো আমি আরও এরকম ভিডিও বানাব।' ওই মডেল আরও জানান, তিনি ট্রাভিসকে ট্যাগ করেই ভিডিও আপলোড করেছেন।  ওঁর খারাপ লাগলে ট্যাগ রিমুভ করে দিতেন।  অথবা আমায় সরাসরি মেসেজ করতেন। কিন্তু, তা তো করেননি। তাহলে নেটিজেনদের এত সমস্যা কেন?


Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement