Advertisement

KOLKATA MUNICIPAL CORPORATION: ইঁদুরে কাটছে কলকাতা, সচেতনতা প্রচারের নির্দেশ ফিরহাদের 

ইঁদুরের উৎপাতে জেরবার কলকাতা পুরসভা। ইঁদুরের জন্য ফুটপাথ বসে যাচ্ছে। শুক্রবার ইঁদুরের সমস্যা নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি সচেতনতামূলক প্রচার চালানোর নির্দেশ দেন। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘অনেক বছর আগে সুরাতে ইঁদুরের জন্য প্লেগের প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। কলকাতাতে ইঁদুরের উৎপাত বন্ধ না করা গেলে তা বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।’

ফাইল ছবি।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 15 Jul 2023,
  • अपडेटेड 10:54 AM IST
  • ইঁদুরের উৎপাতে জেরবার কলকাতা পুরসভা।
  • ইঁদুরের জন্য ফুটপাথ বসে যাচ্ছে।
  • শুক্রবার ইঁদুরের সমস্যা নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

ইঁদুরের উৎপাতে জেরবার কলকাতা পুরসভা। ইঁদুরের জন্য ফুটপাথ বসে যাচ্ছে। শুক্রবার ইঁদুরের সমস্যা নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি সচেতনতামূলক প্রচার চালানোর নির্দেশ দেন। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘অনেক বছর আগে সুরাতে ইঁদুরের জন্য প্লেগের প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। কলকাতাতে ইঁদুরের উৎপাত বন্ধ না করা গেলে তা বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।’

কলকাতার মত পুরনো শহরে ইঁদুরের উৎপাত নতুন সমস্যা নয়। কখনও ওদের কারণে ব্রিজের ভিত নড়িয়ে দেওয়ার মতো সমস্যা তৈরি হয়েছে। কখনও ফুটপাতের নীচের অংশ খুঁড়ে সুরঙ্গ তৈরি করে ফেলে ইঁদুর। ফলে বারবার বসে যায় নতুন করে বানানো ফুটপাত বা গালিপিটের ধারে রাস্তার একাংশ। 

এখন তাই নতুন কৌশলে তৈরি হচ্ছে ফুটপাত। ব্যবহার হচ্ছে কাচের গুঁড়ো। আগে ফুটপাতে ইট কিংবা পাথরের টুকরো বিছিয়ে তার উপর বালি দিয়ে একে একে পেভার ব্লক বসানো হতো। কিন্তু ফুটপাতের তলা দিয়ে ইঁদুর সুরঙ্গ তৈরি করে ফেলছিল। নীচ থেকে মাটি সরে গিয়ে বসে যাচ্ছিল ফুটপাত। এই অবস্থায় ফুটপাত তৈরিতে যোগ করা হয় কাচের গুঁড়ো। সেই সঙ্গে কংক্রিট করে তার ওপর ইট বসিয়ে পেভার ব্লক বসানো হচ্ছে। মূলত শহরের যে সমস্ত রাস্তা কিংবা ফুটপাতে খাবারের দোকান বেশি সেখানেই সমস্যায় জেরবার কর্তৃপক্ষ। 

পার্ক স্ট্রিট, চৌরঙ্গী, হাতিবাগান, খান্না, মানিকতলা, গড়িয়াহাট, হাজরা এমনকী  বড়বাজারের মত এলাকা, যেখানে খাবারের দোকানের পাশাপাশি একাধিক খাবার মজুত করার গুদাম রয়েছে, সেখানে এই ধরনের সমস্যা প্রবল বলে জানিয়েছেন পুরকর্তারা। এই প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, বিভিন্ন পাড়া, বাজার অঞ্চলেও মানুষকে বোঝানো হবে। রাস্তায় কেউ খাবার ফেলবেন না। খাবার দোকানদারদের বিন ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে। কথা না শুনলে নোটিস দেওয়া হবে। প্রয়োজনে হবে কড়া পদক্ষেপও। 

Advertisement

হাকিম বলেন, হলদিরামের (এক্সাইড ক্রসিংয়ে) বিপরীতে ফুটপাথের একটি অংশ খারাপ অবস্থায় রয়েছে কারণ ইঁদুররা এর নীচে মাটি খুঁড়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেছিলেন যে ঢাকুরিয়া ফ্লাইওভারের গোড়ায় ইঁদুর খাওয়ার সমস্যা কীভাবে নাগরিক সংস্থাকে পরিচালনা করতে হয়েছিল। ইঁদুরের উপস্থিতিও জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি এবং রোগের প্রাদুর্ভাব হতে পারে বলেও সতর্ক করেন ফিরহাদ।

মেয়র বলেন, যতদিন মানুষ রাস্তা ও ফুটপাথে খাবারের বর্জ্য ফেলতে থাকবে ততদিন সমস্যা থাকবে। নাগরিক সংস্থার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগকে বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করতে হবে,  ফুটপাতে বর্জ্য ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
পুরসভার বক্তব্য, এটা শুধু কলকাতার সমস্যা নয়। দেশের বহু বড় রাজ্য এবং বিদেশেও বহু উন্নত শহর ইঁদুরের উৎপাতে দিশাহারা। প্যারিস শহরের প্রশাসন অনেক চেষ্টা করেও ইঁদুর নিয়ন্ত্রণ করার পথ খুঁজে পায়নি। কলকাতায় কী ভাবে ইঁদুরের উৎপাত আটকানো যায় তা নিয়ে নিশ্চিত ভাবেই আগামী দিনে পুরসভা পরিকল্পনা করবে। 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement