চার ছাত্রনেতা নিখোঁজ, এই অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, হাওড়া স্টেশন চত্বরে স্বেচ্ছাসেবকদের খাবার দিচ্ছিলেন ওই ৪ ছাত্রনেতা। মাঝরাত থেকে তাঁদের খোঁজ মিলছে না। নিখোঁজ হওয়া চার ছাত্র হলেন শুভজিৎ ঘোষ, পুলকেশ পণ্ডিত, গৌতম সেনাপতি এবং প্রীতম সরকার।
শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার সকালে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ এই বিষয়ে মামলা দায়েরের অনুমতি দেন। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পুলিশ এই ছাত্রনেতাদের অপহরণ করেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপি হাওড়ার গোলাবাড়ি থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছে।
এরপর কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় জানায় যে ওই চার ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়, নিরাপত্তার স্বার্থেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁদের পরিবারকেও এই গ্রেফতারের খবর জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রনেতারা কেউ নিখোঁজ নন। ওই চার জন নবান্ন অভিযানে ব্যাপক হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বলে নির্দিষ্ট ও অকাট্য তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। খুন ও খুনের চেষ্টার চক্রান্ত করছিলেন ওঁরা। শান্তি রক্ষার স্বার্থে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে ওঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি এই গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন, অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন নিজেদের সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে দাবি করেছে। নবান্ন অভিযানের আগে এই পরিস্থিতি আরও জটিল ও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।