নাগরিকত্ব হারানোর আশঙ্কায় প্যানিক অ্যাটক হত যুবকের। তারপর আত্মহত্যা করেন তিনি। এমনই অভিযোগ করা হল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। দলের এক্স হ্যান্ডেলে এই নিয়ে পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, নেতাজিনগরের ওই বাসিন্দার নাম দেবাশিস সেনগুপ্ত, বয়স ৩১।
তৃণমূলের তরফে পোস্টে লেখা হয়েছে, 'মোদী সরকারের ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্তের মারাত্মক প্রভাব।
নেতাজিনগরের বাসিন্দা ৩১ বছর বয়সী দেবাশিস সেনগুপ্ত আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর মরদেহ সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে আনা হয়। মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, CAA এবং NRC-এর ফলস্বরূপ নাগরিকত্ব চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছিলেন দেবাশিস। সেজন্য তাঁর ঘন ঘন প্যানিক অ্যাটাকও হচ্ছিল।'
এদিকে ওই মৃত যুবকের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ওই যুবকের কীভাবে মৃত্যু হল, কেন মারা গেলেন এসব খতিয়ে দেখতে দেবাশিস সেনগুপ্তের বাড়ি যাবে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। রাজ্যের শাসকদলের তরফে জানানো হয়েছে, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ৫ সদস্যের এক কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সেই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন, নাদিমুল হক, শশী পাঁজা, কুণাল ঘোষ, সায়নী ঘোষ ও অরূপ চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই দেশজুড়ে CAA চালুর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। যার তীব্র বিরোধিতা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। লোকসভা ভোটের আগে CAA চালুর তীব্র বিরোধিতা করেন তিনি। সাফ জানান, 'যদি কোনও বৈষম্য হয় তাহলে সেই জিনিস আমরা মানি না। যদি আজকে CAA করে বলে আপনারা নাগরিক তার মানে কি এতদিন তাঁরা নাগরিক ছিলেন না? তার মানে কি এই কারণে মতুয়াদের আধার কার্ড বাতিল করা হচ্ছিল। আমি ডিটেলস দেখার পর সব বলব। যদি CAA দেখিয়ে NRC নিয়ে এসে এখানকার মানুষদের নাগরিত্ব বাতিল করা হয় তাহলে আমরা প্রতিবাদ করব। NRC মানতে পারব না।'
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকে নস্যাৎ করেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, CAA-তে কারও নাগরিকত্ব যাবে না। তিনি বলেন, 'মিথ্য়াবাদী মমতা ব্য়ানার্জি। একজনেরও যদি কোনওভাবে তার সুবিধাতে বাধা সৃষ্টি হয়, পদত্য়াগ আপনি করবেন তো? আমি করব। চ্য়ালেঞ্জটা নেন না। চ্য়ালেঞ্জটা আপনি নিতে পারবেন না।'