আজ সকালেই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হয়েছে। এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এর ওপরে রয়েছে। গোপালপুর থেকে মোটামুটি ৫০০ কিলোমিটার ও পারাদ্বীপ থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। এটি ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে বলে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। ৪ ডিসেম্বর, আগামিকাল সকালে আরও শক্তি বাড়াবে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। তারপর অন্ধ্রপ্রদেশ আর ওড়িশার উপকূল হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগোবে।
আসন্ন ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের মোকাবিলায় পুরোপুরি প্রস্তুত কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে একটি বিশেষ কন্ট্রোল রুম ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে। এই প্রস্তুতি প্রসঙ্গে কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র জানান, সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সঙ্গেও সমন্বয়ের জন্য এই কন্ট্রোল রুমটি ২৪x৭ ঘণ্টাই খোলা থাকছে।
আরও পড়ুন: বন্ধু হঠাৎ WhatsApp করে টাকা চাইছে? সাবধান, প্রতারিত হতে পারেন!
বিগত দু’বছরে একাধিক সুপার সাইক্লোনের মুখোমুখি হয়েছে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন বাংলা, ওড়িশা। এর মধ্যে আমফানের তাণ্ডবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল বাংলার উপকূলবর্তী এলাকা আর সুন্দরবন। সেই অভিজ্ঞতার পর আঁটসাঁট সতর্কতামূলক প্রস্তুতিতে পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়গুলির ধাক্কা অনেকটাই সামাল দেওয়া গিয়েছিল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও আমফানের তুলনায় পরবর্তিগুলিতে অনেকটাই কম ছিল। অতীতের সেই অভিজ্ঞতাকে সম্বল করে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের মোকাবিলায় পুরোপুরি প্রস্তুত কলকাতা পুলিশ। ঝড়ের ল্যান্ডফলের পর পরিস্থিতি কী হবে, তা সময়ই বলে দেবে!