ফের বড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স(এসটিএফ)। বিহারে মিলল অস্ত্র কারখানার হদিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে বিহারের তারাপুরে হানা দেয় কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। সঙ্গে ছিল স্থানীয় পুলিশ ও বিহার পুলিশের এসটিএফ। তল্লাশি অভিযানে একটি খাবারের থালা বানানোর কারখানার নীচে মাটির তলায় গোপন কুঠুরির সন্ধান পায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ঘরে দীর্ঘ দিন ধরে গোপনে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি হত। সেখান থেকে বন্দুক–পিস্তলের নানা যন্ত্রাংশও উদ্ধার করেছে এসটিএফ।
কলকাতা পুলিশ এবং বিহার পুলিশের এসটিএফ একযোগে বিহারের মুঙ্গেরে এই অভিযান চালায়। ওই আগ্নেয়াস্ত্র কারখানায় গোপন অভিযান চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একাধিক বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র । এই ঘটনায় সাত ধরনের বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম এবং আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে । লালবাজার সূত্রের খবর, বিহারের মুঙ্গেরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সেখানকার এক বাসিন্দা মহম্মদ মনাজির হোসেনের বাড়ি ও তাঁর বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র কারখানায় একযোগে তল্লাশি অভিযান চালায় বিহার এবং কলকাতা পুলিশের এসটিএফ । জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে সাতটি সেভেন এমএম পিস্তল, পিস্তল তৈরি করার মেশিন, চারটি লেদ মেশিন-সহ কার্তুজ এবং আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করার একাধিক সরঞ্জাম।
বেআইনি অস্ত্র কারখানার মালিক মহম্মদ মোনাজির হুসেন এবং তাঁর শ্যালক মহম্মদ নাসিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর কেউ জড়িত কিনা তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থল থেকে ৬টি ৭ এমএম পিস্তলের যন্ত্রাংশ, ৬টি পিস্তলের বাট এবং ১টি লেদ মেশিন উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ড্রিলিং মেশিন ছাড়াও প্রচুর কাঁচামাল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগেই বিহারের ভাগলপুরে বেআইনি বন্দুক তৈরির কারখানার হদিশ মিলেছিল। উদ্ধার হয়েছিল বহু আগ্নেয়াস্ত্র ও কাঁচামাল। বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। তারপর বুধবার ফের মিলল বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ।