রবিবার কলকাতায় সিবিআই দল ডক্টর সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। এই তল্লাশি অভিযান প্রায় ১২ ঘন্টা ধরে চলে এবং দলটি রবিবার রাত ৮.৩০ মিনিটের দিকে সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। সিবিআই টিম যখন অভিযান শেষ করে বাড়ি থেকে বের হচ্ছিল, তখন বাড়িন প্রধান গেটে দাঁড়িয়ে ছিলেন ডক্টর ঘোষ। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিপুল জনতা তার বিরুদ্ধে ‘চোর...চোর...’ বলে স্লোগান দেয়।
রাজ্যকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল
শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে পুলিশের ক্ষমতা প্রয়োগ নয়, নবান্ন অভিযানের আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, নবান্ন অভিযানের আগে রাজ্য সরকারের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মনে রাখা প্রয়োজন।
ছাত্র সমাজের ইমেল সত্ত্বেও নবান্ন অভিযানের অনুমতি দিল না পুলিশ, কারণ কী?
সোমবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য পুলিশ জানিয়ে দেয়, মঙ্গলবার যে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে তা বেআইনি। কারণ, একে তো কোনও নির্দিষ্ট সংগঠনের তরফে এই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়নি। দুই প্রথা মাফিক তথা নিয়ম মেনে পুলিশের কাছে কোনও আবেদন জানানো হয়নি। তাই পুলিশ কোনও অনুমতি দিচ্ছে না। রাজ্য পুলিশ এ কথা জানিয়ে দেওয়ার পর দুটি ইমেল বার্তা পাঠায় তথাকথিত ছাত্র সমাজের যৌথ মঞ্চ। পরে সন্ধেয় ফের সাংবাদিক বৈঠক করে এডিজি সাউথ বেঙ্গল সুপ্রতিম সরকার বলেন, “আমাদের কাছে ছাত্র সমাজের থেকে দুটো ই-মেল এসেছে। কোনও অনুমতি চেয়ে তারা ইমেল করেনি। শুধু মাত্র তারা এই তথ্য জানিয়েছে যে তারা নবান্ন অভিযান করতে চায়।”
আমরা এই আন্দোলনের উদ্যোক্তা নই: সুকান্ত মজুমদার
নবান্ন অভিযান নিয়ে রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বললেন, 'এই আন্দোলন বিজেপি-র আন্দোলন নয়। তবে এই ধরনের যে কোনও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিজেপি-র সমর্থন আছে। থাকবে। প্রয়োজনে আমরা দলমত নির্বিশেষে সমর্থন করব। কিন্তু আমরা এই আন্দোলনের উদ্যোক্তা নই। আমাদের মনে হয়েছে এই ভিডিও নকল। ইচ্ছে করে তৈরি করা হয়েছে। আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। ছাত্রদের ভয় দেখাতে এটা করা হয়েছে। এই রকম গণতান্ত্রিক আন্দোলন সিপিএম করলেও, বিজেপি সমর্থন করবে। এই ভাবে ভয় দেখিয়ে ছাত্র আন্দোলনকে ধ্বংস করা হবে, ছাত্রদের উপর দমন পীড়ন করা হবে, তাহলে পরবর্তীকালে বিজেপি নবান্ন অভিযান করবে। পুলিশকে আমি প্রশ্ন করব, ওই ভিডিওটি নিয়ে কী বলবেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে সেমিনার হলে ক্রাইম সিনে মেলার মতো ভিড়। ওই রকম ভাবে ভিড় থাকলে, লোকজন যাতায়াত করলে আর কোনও প্রমাণ অবশিষ্ট থাকে?'
ঘাটালের দুই বিজেপি নেতাকে আটক করল পুলিশ
নবান্ন অভিযান নিয়ে গোপন ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছে তৃণমূল। তার সূত্র ধরেই পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের দুই বিজেপি নেতাকে আটক করল পুলিশ। ধৃতদের নাম বাবলু গঙ্গোপাধ্যায় এবং সৌমেন চট্টোপাধ্যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, তৃণমূলের প্রকাশ্যে আনা ভিডিয়োয় তাঁদের দেখা গিয়েছে। বাবলু ঘাটাল মহকুমার অন্তর্গত ঘাটাল থানার খড়ার পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের একমাত্র বিজেপি কাউন্সিলর। তবে এখনও একজন পলাতক। তাঁর নাম বিপ্লব মাল। তিনি চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে খবর মিলেছে পুলিশ সূত্রে।
অশান্তি তৈরির ছক, সাধারণ মানুষ ফাঁদে পা দেবেন না: এডিজি আইনশৃঙ্খলা
রাজ্য পুলিশ জানাল, নবান্ন সংরক্ষিত এলাকা। এখানে কোনও প্রোগ্রাম করতে হলে, পুলিশের কাছে আবেদন করতে হবে। অনুমতি মিলবে কিনা, তা পুলিশ সিদ্ধান্ত নেবে। যে প্রোগ্রামটি করা হচ্ছে, ওটা বেআইনি। যারা চাইছেন এটা করতে, তারা অন্য জায়গায় করতে পারেন। আমরা সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে পারব। নবান্ন অভিযানের জন্য কোনও অনুমতি চাওয়া হয়নি। আমাদের কাছে যা তথ্য আছে, একটা বড় অংশের দুষ্কৃতী নিজেদের স্বার্থে অশান্তি তৈরি করতে চাইছে। আমাদের কাছে নির্দিষ্ট তথ্য আছে। ২৭ তারিখে একটা পরীক্ষা আছে। ন্যাশনাল টেস্ট এজেন্সি এই পরীক্ষা নেবে। অনেক ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দেবে। তাদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, আমরা সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছি। সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্যও পুলিশ তৈরি থাকছে। ২৭ তারিখ কাজের দিন। বহু মানুষ কাজে যাবেন। হাওড়া পুলিশের কমিশনার আছেন, ওরা এখনও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চও এই প্রোগ্রামে থাকছে। ওদেরও বলেছি, আইনি ভাবে আবেদন করতে। কিন্তু ওরাও কোনও যোগাযোগ করেনি। সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করছি, এখানে একটি অশান্তি তৈরির ছক কষা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ যাতে এই ফাঁদে পা না দেন।
আজকেও সিবিআই দফতরে সন্দীপ
বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির পরদিনই ফের সিজিও কমপ্লেক্সে সন্দীপ ঘোষ। সোমবার সকালে একটি হলুদ রংয়ের ফাইল হাতে সিবিআই দফতরে ঢুকতে দেখা যায় তাঁকে। এই নিয়ে দশম দিনে সিবিআই দফতরে পৌঁছলেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। এদিকে, রবিবারের পর সোমবার নিজাম প্যালেসে দেবাশিস সোম। গতকাল তাঁর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালানোর পর নথি নিয়ে সস্ত্রীক দেবাশিস নিজামে উপস্থিত হন।
নবান্ন অভিযানের দিনই ইউজিসি নেট, পাশে থাকার আশ্বাস পুলিশের
ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযান। আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই নবান্ন অভিযানের দিনই ইউজিসি নেট পরীক্ষা। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই যাঁরা পরীক্ষা দেবেন তাঁরা কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তার মধ্য়ে পড়ে গিয়েছেন। কারণ পরীক্ষার দিন যদি রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায়, অশান্তি হয় তাহলে সমস্যা হতে পারে। তবে এবার তা নিয়ে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
সিজিও-তে তলব আরজি করের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে
আরজি করের দুর্নীতি কাণ্ডে আজ আরজি করের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে তলব করেছে সিবিআই। রবিবারই এন্টালিতে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। এবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হল। এই প্রথম সঞ্জয় বশিষ্ঠকে তলব করল সিবিআই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় লোক ক্ষেপিয়ে অভিযানের ডাক দিয়েছে: কুণাল ঘোষ
ছাত্র সমাজ-এর ডাকে নবান্ন অভিযানকে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ ও মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। দুটি ভিডিও দেখিয়ে বললেন, তৃণমূল কংগ্রেস দোষীদের শাস্তি চায়। তদন্ত এখন সিবিআই-এর হাতে। তাহলে কারা বলছে নবান্ন চলো? সিপিএম-এর জমানায় একের পর এক ঘটনা ঘটেছে। জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ইস্তফা দেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় লোক ক্ষেপিয়ে অভিযানের ডাক দিয়েছে। বিজেপি, আরএসএস, এবিভিপি এগুলোকে প্রমোট করছে। বাইরের রাজ্য থেকেও গ্রুপ করে লোক ঢোকানো হতে পারে। একটা গন্ডগোল করার পরিকল্পনা রয়েছে। কালকের নবান্ন অভিযান বেআইনি। যারা বাংলায় প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, তারাই লোককে উস্কিয়ে গোলমাল করার চেষ্টা করছে। কাল অনেক পরীক্ষা রয়েছে। ছাত্র সমাজের নামে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা চলছে। চক্রান্তকারীরা বলছে, রাজনীতি করার জন্য মৃতদেহ চাই। কিছু সিপিএম-এর লোক এর পিছনে রয়েছে। কালকের নবান্ন অভিযানের কোনও অনুমতি পুলিশের থেকে নেওয়া হয়নি।
ওই দিন রাতে পতিতাপল্লি গিয়েছিল সঞ্জয়
যে রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়, সেই দিন রাতে সোনাগাছি গেছিল মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। তবে যৌন মিলন করেনি। পলিগ্রাফ টেস্টে স্বীকার করেছে সঞ্জয়।
চাক্কাজ্যাম কর্মসূচির ডাক বিজেপি-র
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যজুড়ে ১ ঘণ্টা চাক্কাজ্যাম কর্মসূচির ডাক দিল বিজেপি।
টানা ১২ ঘণ্টা তল্লাশি সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে
রবিবার টানা ১২ ঘণ্টা সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। রাত ৯টা নাগাদ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে তল্লাশি শেষ করে নিজাম প্যালেসে এসে পৌঁছয় সিবিআইয়ের টিম। সন্দীপ ঘোষ সেই সময় গেট লাগাতে বাইরে বেরোতেই চোর চোর বলে চিত্কার শুরু করেন প্রতিবেশীরা।
মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযান। সমাজমাধ্যমে এমন প্রচার শুরু হয়েছিল যে, সোমবারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ না করলে নবান্ন অভিযান হবে মঙ্গলবার। মূলত সমাজমাধ্যমেই চলে সেই প্রচার। এ বার রাস্তায় নেমেও প্রচার শুরু করে দিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। রবিবার সকালে শিয়ালদহ স্টেশন, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের প্রধান গেট-সহ বিভিন্ন জায়গায় আয়োজক ছাত্রেরা পোস্টার হাতে দাঁড়িয়ে থাকেন।
গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত
ভিড়ের আওয়াজ শুনে প্রাক্তন আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সঙ্গে সঙ্গে দরজা বন্ধ করে ভিতরে চলে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয় কলকাতা পুলিশ ও সিআরপিএফ। অভিযানের সময় সিবিআই ডক্টর ঘোষের বাড়ি থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে।
একাধিক জায়গায় সিবিআই তল্লাশি
CBI টিম আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ-খুন মামলায় হাসপাতালে ওঠা আর্থিক অনিয়মের তদন্ত করতে রবিবার প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডক্টর সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে পৌঁছেছিল। এছাড়া আরও চারটি স্থানে অভিযান চালিয়েছে সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখা। এর মধ্যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন এবং টক্সিকোলজির ডেমোস্ট্রেটর ডাঃ দেবাশীষ সোমের বাড়িও ছিল।
হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকেও সিবিআই দল
সিবিআইয়ের একটি দল ডঃ সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে পৌঁছেছিল, দ্বিতীয় দল আরজি কর-এর ফরেনসিক মেডিসিনের অধ্যাপক ডাঃ দেবাশীষ সোমের বাড়িতে এবং তৃতীয় দলটি আরজি করের প্রাক্তন এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্ঠের বাড়িতে পৌঁছেছিল। সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকে পৌঁছেও তদন্ত করে।
সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট
আরজি কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট হয় রবিবার। সূত্রের খবর, রবিবার দুপুর ১২টা ৪০ নাগাদ আলিপুরের প্রেসিডেন্সি জেলে সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট শুরু হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয় আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের। মনে করা হচ্ছিল আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই টেস্ট থেকেই এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা জানা যেতে পারে।
জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলছে
আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা এখনও কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন বিচারের দাবিতে। আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। তাঁরা এও বলেছেন আড়াল থেকে সক্রিয় এক দুষ্ট চক্র দোষীদের আড়াল করছে, সুবিচারকেও বিলম্বিত করছে তারা। এই অভিযোগেই আগামী দিনেও কর্মবিরতি জারি রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারীরা। এর পাশাপাশি সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টেয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে একটি গণ কনভেনশনের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।