আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই-এর কাছে ফ্রেশ স্টেটাস রিপোর্ট তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। আজ শুনানিতে মুখবন্ধ খামে সুপ্রিম কোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। তারপরই নতুন করে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার ফের শুনানি হবে। এখনও পর্যন্ত এটা জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, 'সিবিআই-এর তরফে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। তা থেকে পরিষ্কার তদন্তের কাজ চলছে। তবে আমরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আরও একটি স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি। সিবিআই কাজ করছে। তারা কীভাবে কাজ করবে সেই বিষয়ে আমরা গাইডলাইন তৈরি করে দিতে চাই না। তারা নিজেদের মতো তদন্ত করুক।'
আরজি করের নির্যাতিতার মৃত্যুর পর কখন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে তা নিয়েই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে রিপোর্ট চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
রাজ্য সরকারের তরফে উপস্থিত আইনজীবী কপিল সিব্বাল আদালতকে জানান, ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয় ১.৪৭ মিনিটে। আর পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ২.৫৫ মিনিটে। যদিও সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা কোর্টকে জানান, পাওয়া তথ্য অনুযায়ী রিপোর্ট ফাইল করা হয়েছিল রাত্রি সাড়ে এগারোটার সময়।
সিনিয়ার আইনজীবী কপিব সিব্বাল আদালতকে জানান, ডাক্তারদের স্ট্রাইকের কারণে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য আগের দিনই কোর্টের তরফে ডাক্তারদের কাজে ফেরার আর্জি জানানো হয়েছিল।
আরজি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগও জানাল কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে সোমবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে জানানো হয়, আরজি করে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সহযোগিতা করছে না।
প্রসঙ্গত, এই মামলাটি স্বতঃপ্রণোদিতভাবে সুপ্রিম কোর্ট শুরু করে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ এই বিষয়ে শুনানি করছেন। এর আগের শুনানিতে আরজি করের ঘটনাকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। কলকাতা পুলিশ কেন এফআইআর করতে দেরি করল, কেন মৃতদেহ তড়িঘড়ি পোড়ানো হল এই সব নিয়ে প্রশ্ন করেছিল সর্বোচ্চ আদালত।