সময় বাঁচাতে এবং গন্তব্যে দ্রুত পৌঁছতে মা উড়ালপুল ব্যবহার করেন গাড়িচালকেরা। বিশেষত অফিসযাত্রীরা এই উড়ালপুলটিকেই অগ্রাধিকার দেন। যানজট না থাকলে বাইপাস থেকে ওই উড়ালপুল দিয়ে ধর্মতলা বা ময়দান পৌঁছতে সময় লাগে বড়জোর ২০ মিনিট। কিন্তু যদি যানজট তৈরি হয় তাহলে বড় ধরণের সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রাীদের। একই অবস্থা আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস রোডেও। তাই যানজট আটকাতে কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ।
মা উড়ালপুলে যানজট তৈরি করলেই এখন থেকে জরিমানা দিতে হবে। শুধু তা-ই নয়, দীর্ঘ দিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধুঁকতে থাকা গাড়ি যদি উড়ালপুলে বিগড়ে গিয়ে যানজট তৈরি করে, তা হলেও একই ‘শাস্তি’! স্পষ্ট জানিয়ে দিল কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ। শুধু মা উড়ালপুল নয়, এজেসি বোস রোডের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম কার্যকরা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
কর্মব্যস্ত দিনে মা উড়ালপুলে যানজটের কবলে পড়ে প্রায়ই হয়রানির শিকার হতে হয় শহরবাসীকে। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, গাড়ি খারাপ হয়ে যানজট তৈরি হচ্ছে। আবার সাধারণ ধাক্কা, বা দুটি গাড়ির মধ্যে ঠোকাঠুকিকে কেন্দ্র করে গাড়ি থামিয়ে বচসাও নিত্ত নৈমিত্তিক ঘটনা। আর এক বার যানজট তৈরি হলে সহজে তা ছাড়ে না। যার জেরে স্কুলগাড়ি থেকে অ্যাম্বুল্যান্স, পথে আটকে পড়ে সবই। সেই কারণেই ‘শাস্তি’ হিসাবে জরিমানার পথে হাঁটল পুলিশ। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ জানিয়েছে, মোটরযান বিধির ১৯০ (১) আইন অনুযায়ী, এ সব ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকা বা তার বেশি জরিমানা দিতে হতে পারে।
কী লিখেছে কলকাতা পুলিশ?
"যানবাহনগুলি ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না করায় ঘন ঘন ব্রেকডাউন এবং ছোটখাটো সংঘর্ষের জেরে তৈরি হওয়া গোলমাল-বচসার ফলে (এ জে সি বোস রোড এবং মা ফ্লাইওভার)-এ প্রায়ই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এটিকে ট্র্যাফিক ব্যবস্থায় বাধা সৃষ্টিকারী হিসাবে দেখা হবে এবং ১৯০(১) MV আইনের অধীনে বিবেচনা করা হবে, যার দরুণ ৫০০০ টাকা এবং তার উপরে জরিমানা করা হবে।"