Kolkata Water Supply: জমা জলে রক্ষে নেই। তার মাাঝে ওই জমা জল তেকেই নতুন সমস্যার আশঙ্কা তৈরি হল। কলকাতা-সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি পুরসভা আগামী কয়েকদিন জলের সমস্যায় ভুগতে পারে।
গঙ্গার জলের মান
রাজ্য সরকারের দাবি, ডিভিসি জল ছাড়ায় গঙ্গার জলের মানে প্রভাব পড়েছে। আর তার জেরে জল সরবরাহের কাজে জটিলতা তৈরি হয়েছে। তা মিটতে কিছু সময় লাগবে। ফলে সেই সময়টুকু অসুবিধা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফিরহাদ হাকিমের দাবি
রাজ্যের মন্ত্রী, কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান ফিরহাদ হাকিম এর জন্য ডিভিসি-কে দায়ী করেছেন। তিনি দাবি করেন, ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় গঙ্গায় একটা উত্থাল হয়েছে। তাতে জলের সঙ্গে মাটির পরিমাণ বেড়েছে। কালো রঙের মাটি গঙ্গার জলের সঙ্গে মিশে গিয়েছে।
তিনি আরও দাবি করেন, জলের গুণমান খারাপ হয়েছে। বহু জায়গায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে জল শুদ্ধ করা যাচ্ছে না। এত বেশি মাটি যে শুদ্ধ করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, কলকাতা পুরসভার থেকে ঠিক করেছি, জোয়ারের সময় অল্প জল নেব। ভাল জল সরবারহ করব। আশা করি দু-তিনদিনের মাটি বসে যাবে। আশা করি ঠিক হয়ে যাবে।
পাশের রাজ্যেও একই সমস্যা
এদিন ফিরহাদ দাবি করেন, আশপাশের রাজ্যেরও এই সমস্যা হচ্ছে। যারা গঙ্গার থেকে জল নেয়। ঘোলা জল আসছে। কালো জল আসছে। পলির পরমাণ অনেক বেশি।
তবে ফিরহাদ আশ্বাস দিয়েছেন, সোমবারের জল খাওয়া যাবে। সকালের দিকে ঘোলা জল থাকতে পারে। তবে জলের চাপ কম থাকবে। ৫০ শতাংশ জল সরবাহর করতে পারব। সোম-মঙ্গল-বুধবার জল সরবরাহের পরিমাণ কম থকবে।
কলকাতার পাশেও
কলকাতার পাশাপাশি হুগলির চুঁচুড়াতে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কল খুললেই ঘোলা জল বেরোচ্ছে সেখানা। কলকাতা এবং হুগলির বিভিন্ন জায়গায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। শ্রীরামপুরে মাইকে করে প্রচার চালানো হচ্ছে যাতে আপাতত সেই জল পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার না করার জন্য। পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। তখন ব্যবহার করা যেতে পারে।
হুগলি জেলা প্রশাসন থেকেও একই কথা জানানো হয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কেএমডবিলুএসএ-র ইঞ্জিনিয়াররা যতক্ষণ না পরামর্শ দেবেন, আপনারা সেই খাওয়ার জল হিসেবে ব্যবহার করবেন না। যে গুণমান থাকা দরকার, তা ঠিক নেই। তারা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।