'জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে যখন মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের কথা চলছিল, তখনই তাঁদের উপর হামলার ছক করা হচ্ছিল'। শুক্রবার এই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। একটি অডিও শুনিয়ে তিনি দাবি করেন, আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলার 'প্লট' হয়েছিল। এর পিছনে বাম যুব সংগঠন ও একটি অতিবাম সংগঠন রয়েছে বলে দাবি করেন কুণাল।
পাঁচ দফা দাবি নিয়ে স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তিনবার ইমেল চালাচালির পর বৃহস্পতিবার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি কথা হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তবে লাইভ সম্প্রচার চেয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই দাবি মানেনি নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকায় লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব নয়! তারপর নবান্নের সভাঘর চত্বরে সাংবাদিক বৈঠক করে জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, স্বচ্ছতার জন্যই লাইভ স্ট্রিমিং চেয়েছিলেন তাঁরা। ঠিক তখনই নাকি তাঁদের উপর হামলার ছক কষা হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য,'যখন জুনিয়র ডাক্তাররা প্রেস কনফারেন্স করছিলেন, সেই সময় দু-তিনটি শিবির ভয়ঙ্কর প্লট তৈরি করছিল। ফোনে বলা হচ্ছিল, হামলা করতে হবে জুনিয়র জাক্তারদের উপর। বাইরের ছেলেমেয়ে দিয়ে হামলা চালাতে হবে, যাতে সরকারের উপর দায় চাপে। এই সময় হামলা করা গেলে রাজ্য সরকারের উপর পুরো দায় চাপবে'।
এর নেপথ্যে বামপন্থী সংগঠনগুলি রয়েছে বলে দাবি করেন কুণাল। তাঁর কথায়,'এই ভয়ঙ্কর ছক তৈরি করেছে বামপন্থী যুব সংগঠন, অতিবাম বলে পরিচিত একটি সংগঠনের একজন। ঘটনাস্থলে বিজেপির যুব নেতাদের অবাধ যাতায়াত তৈরি হয়েছে। কী কথোপকথন হচ্ছে, সেটা ওদের শিবির সূত্রেই বেরিয়ে আসছে। সবাই গণ্ডগোল চাইছে না। যা পেয়েছি, সেটা ভয়ঙ্কর। নির্দিষ্টভাবে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলা করার চক্রান্ত হয়েছে'।
এরপর একটি অডিও শোনান কুণাল ঘোষ। ওই অডিয়োয় একাধিক কণ্ঠস্বরকে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলার কথা বলতে শোনা যাচ্ছে। কণ্ঠস্বরগুলি কাদের, সেটা অবশ্য জানানি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।
কুণাল আরও বলেন'আমরা পুলিশ-প্রশাসনকে অনুরোধ করব, কোনও বহিরাগত যেন ঢুকতে না পেরে। বিজেপি-আরএসএসের লোকজন বসে থাকছে। নকশালপন্থী নেতা গিয়ে বসে আছেন। রাজনৈতিক পরিচয়ের লোকজন বসে আছেন। তৃণমূল বিরোধী অন্য রাজনৈতিক দল করেন, তাঁরা জুনিয়র ডাক্তারদের বন্ধু সেজে নানারকম প্ররোচনা দিচ্ছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের উপর রাগ থেকে হামলার চক্রান্ত চলছে। যাতে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর দায় চাপিয়ে দেওয়া যায়'।