সারদা মামলায় গ্রেফতারির বর্ষপূর্তিতে বিস্ফোরক পোস্ট কুণাল ঘোষের। তাঁকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। মিথ্যে কেসে ফাঁসানো হয়েছে। এখনও তিনি রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের এজেন্সির বিরুদ্ধে লড়ছেন। তিনি সেই সব দিনগুলো ভোলেননি। ভুলবেনও না। এক্স হ্যান্ডেলে এই পোস্ট করলেন।
কুণাল ঘোষ আজ লেখেন, '23/11/23 ঠিক দশ বছর আগে আজকের তারিখে বিনা দোষে চক্রান্তমূলকভাবে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অনেকে ভেবেছিল আমি ধ্বংস হয়ে যাব। ঈশ্বরের আশীর্বাদে এখনও আছি। মিথ্যা সাক্ষী, মিথ্যা মামলায় জর্জরিত থেকেও আইনে লড়ছি। জীবনযুদ্ধে লড়ছি। সাংবাদিকতা, লেখালিখি, রাজনীতিতে আছি, লড়াই করছি। রাজ্য, কেন্দ্র দুই সরকারের এজেন্সির বিরুদ্ধেই লড়াই চলছে।'
'কঠিনতম দিনগুলিতে যে কয়েকজন পাশে ছিল, তাদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ।
আমার এবং আমার ঘনিষ্ঠদের সেদিনের চোখের জল, আর্তনাদ বৃথা যাবে না। সময় তা প্রমাণ করবে। ঈশ্বরের বিচার থেকে ষড়যন্ত্রীরা বাদ যাবে না।'
'আমি তৃণমূল কংগ্রেস করছি শুধু এটা প্রমাণ করতে যে মন থেকেই দলটা করে এসেছি, আমি একজন সৈনিক এবং কুণাল ঘোষ বেইমান নয়। আমি দলের এমপি, এম এল এ হব না। দলের তরফে জনপ্রতিনিধি হব না। যতদিন ইচ্ছে থাকবে সসম্মানে দলের সাংগঠনিক কাজ করব। তারপর জীবন যেভাবে বলবে, সেইভাবে চলব। গ্রেপ্তারের দিনগুলো এবং আমার ঘাড়ে কলঙ্ক চাপানোর পর্ব ভুলিনি, ভুলব না।'
এদিকে কুণাল ঘোষের এই পোস্ট ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া নেটিজেনদের মধ্যে। অনেকে দাবি করছেন, কুণাল ঘোষ এই পোস্টের মাধ্যমে আসলে তাঁর দল তৃণমূলকেই আক্রমণ করেছেন। একজন লিখেছেন, 'তুমিতো গ্রেপ্তার হয়েছিল WBপুলিশ দ্বারা তাহলে কে গ্রেপ্তার করেছিল?WBপুলিশ মিনিস্টার?কাকে চক্রান্তকরি বলছো?আমরা মনে করছি WBপুলিশ মিনিস্টার তোমাকে গ্রেপ্তার করিয়াছিলওতুমিতাকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে গালি দিচ্ছ।কিন্তু আজপুলিশ মিনিস্টার বুঝলেও তোমাকে কিচ্ছু করবে না কারণ সময় সব বদলে দেয়।'
আবার কারও কারও প্রতিক্রিয়া কুণাল ঘোষের মতো স্পষ্ট বক্তা আছেন বলেই দলটা চলছে। সেই ব্যক্তি লিখেছেন, 'আমার খুব ভালো লাগলো, আপনার মতো মানুষ আছে বলেই এখনো দলটা চলছে। দলে আপনাকে সত্যিই দরকার বলে আমি মনে করি। ভালো থাকবেন সুস্হ থাকবেন। নমস্কার।'
প্রসঙ্গত, কুণাল ঘোষ গ্রেফতার হয়েছিলেন সারদা মামলায়। তাঁকে গ্রেফতার করেছিল বিধাননগর কমিশনারেট অর্থাৎ রাজ্য সরকারের পুলিশ। তখন তিনি ছিলেন রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ। বিধাননগর কমিশনারেটের কমিশনার ছিলেন পুলিশকর্তা রাজীব কুমার। গোয়েন্দাপ্রধান ছিলেন অর্ণব ঘোষ। গ্রেফতারের আগে কুণাল কান্নায় ভেঙে-পড়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন।