ইতিমধ্যেই দল এবং বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বরাহনগরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস রায়। এই ঘটনার পর থেকে রাজ্য–রাজনীতিতে পারদ চড়ছে। সেটাই এবার চরমে পৌঁছল। তাপস রায়ের বাড়ির ড্রয়িং রুমে বসে যখন কুণাল ঘোষ ও ব্রাত্য বসু কথা বলছেন, তখনই নাকি কুণালের কাছে আসে দলের ‘শোকজ লেটার।’ সংবাদমাধ্যমকে এই কথা জানিয়েছেন তাপস রায়। কিন্তু বিষয়টিতে কুণাল বললেন, একটা চিঠি এসেছে। তবে তা এখনও তাঁর পড়া হয়ে ওঠে নি। তিনি বলেন, 'আমি গাড়িতে গান শুনছিলাম। ইয়ে মেরা প্রেমপত্র পড়কর....।'
এরপর তিনি বলেন, 'আমি আর তাপস রায় একসঙ্গে রাজনীতি করেছি। তাপসদাকে অনেক বুঝিয়েছি। তাপসদার সঙ্গে আমার সম্পর্ক দাদা-ভাইয়ের মতো। ব্রাত্যও বুঝিয়েছে। কিন্তু তাপস রায় পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তাপস রায়কে বলল, যেন কোনও প্রতিপক্ষ দলে যোগ না দেন। সেটাই ভালো হবে। এখনই নতুন করে কোনও বৈরীতা তৈরি হোক চাই না।'
সেইসঙ্গে কুণাল জানান, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ফোন করে বাড়িতে চা খেতে ডেকেছেন। তিনি সুদীপের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন। কুণাল আগেই বলেছিলেন, শো-কজ করা হলে তিনি তা প্রেমপত্রের মতো গ্রহণ করবেন। এদিন ওই গানটাই বারবার গাইছিলেন তিনি। তিনি বলেন, 'দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের নাম তৃণমূল। কোনও অভিমান থাকলে নেতা-নেত্রীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ রয়েছে।'
সম্প্রতি, বরানগরের পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির সূত্রে তাপসের বাড়িতে ইডি আসে। সূত্রের খবর, সেই সময় তাপস বলেছিলেন, 'আমার বাড়িতে ইডি আসার পিছনে হাত সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।' সেই সময় অধীর চৌধুরী, নওশাদ সিদ্দিকী, সজল ঘোষেরা তাপসের সমর্থনে বার্তা দিলেও তৃণমূল থেকে কেউ তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি সেভাবে। এ নিয়েও ক্ষোভ ছিল তাপসের। এমনকী আসন্ন ব্রিগেডে তাঁকে দলের তরফে দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি তা নিতে অস্বীকার করেন বলেই বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর।