বিজেপির অন্দরে শুভেন্দু অধিকারীর বিরোধী অন্তত ২৮ জন বিধায়ক। ট্যুইট করে এমনটাই জানালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তার এই মন্তব্য ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি বিজেপির তরফ থেকে। ইতিমধ্যে ৪ বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে গিয়েছেন। আরও কয়েক বিধায়ক ঘাসফুলের তালিকায় রয়েছেন কিনা, কুণালের এই মন্তব্যের পরেই তা নিয়েই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
রাজ্যসভায় প্রার্থী দেবে না বিজেপি। এদিন সকালেই ট্যুইট করে বিষয়টি জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, বিজেপি রাজ্যসভার নির্বাচনে কোনও প্রার্থী দেবে না। ফলাফল আগে থেকেই সবাই জানেন। আমার মূল ফোকাস হল অনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী আবার যাতে অনির্বাচিত হন, তা নিশ্চিত করা। জয় মা কালী। এর কিছুক্ষণের মধ্যে পাল্টা ট্যুইট করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, বিরোধী দলনেতারই বিরোধী হলেন অন্তত ২৮ বিধায়ক। হিসেবের থেকেও কম ভোট পাবেন। অনেকে নানা ছুতোয় ভোট দিতে যাবেন না। সেই ভয়েই প্রার্থী না দিয়ে বড় বড় কথা। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা। যত দিন যাবে তৃণমূলের বিধায়ক বাড়বে। বিজেপির কমবে। জয় মা দুর্গা।
মাত্র ৪ মাস হয়েছে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৪ বিজেপি বিধায়ক দল ছেড়েছেন। মুকুল রায়, তন্ময় ঘোষ, বিশ্বজিৎ দাস এবং সৌমেন রায় ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন। ফলে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ক্রমশই কমছে। বেশ কয়েকদিন বিজেপি বিধায়ক এখনও বিক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। ফলে কুণালের এই মন্তব্য ঘিরে ক্রমশই জল্পনা বাড়ছে। আগামী ৪ অক্টোবর রাজ্যসভায় উপ নির্বাচন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে মানস ভুইয়া সেই আসন ছেড়েছিলেন। সেই আসনে তৃণমূল এবার মনোনীত করেছেন সুস্মিতা দেবকে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী দিচ্ছে না বিজেপি। সুস্মিতা দেবকে সামনে রেখেই অসমে গুটি সাজাচ্ছে তৃণমূল।