ডায়মন্ড হারবারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিঠুন দের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের বাওয়ালি রথতলা পূজা কমিটির আয়োজকদের অভিযোগ, লক্ষ্মীর মূর্তি ভাঙচুর এবং পুজো মণ্ডপ ও প্যান্ডেল অপবিত্র করার প্রতিবাদ জানাতে গেলে মিঠুন দে তাঁদের উপরে আক্রমণ করেন। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ অনুযায়ী, মিঠুন দে সরাসরি নিরীহ প্রতিবাদকারীদের মারধর শুরু করেন। ওই ওই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।
ডায়মন্ড হারবার পুলিশ ডিস্ট্রিক্টে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) হিসেবে মিঠুন দে গত ৮ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে শুভেন্দুর অভিযোগ, রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি কাজ করছেন, এবং এলাকাটিকে 'মিনি পাকিস্তান' বানানোর উদ্দেশ্য নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বে আছেন। পুলিশ সুপারকে ভাইপো পুলিশ বলে উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, এই কার্যকলাপের ফলে সমাজে উত্তেজনা ও অস্থিরতা সৃষ্টি। এবং এটাই ডায়মণ্ডহারবার মডেল।
ঘটনার প্রতিবাদে বিরোধী দলের নেতারা কড়া সমালোচনা করেছেন। শুভেন্দু দাবি করেছেন, মিঠুন দে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার পরিবর্তে নিরীহ মানুষের ওপরে নির্যাতন চালাচ্ছেন এবং তাঁর কাজ পুলিশ কর্মকর্তার মর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাঁকে অবিলম্বে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছেন তারা। এছাড়া, বিরোধী দল প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, মিঠুন দে-র বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তাঁর উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
বিরোধী নেতার বক্তব্যে এই পুলিশ অফিসারের নৈতিকতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারা আরও উল্লেখ করেছেন, মিঠুন দে যদি রাস্তায় মারামারি পছন্দ করেন, তাহলে তাঁকে তাঁর ইউনিফর্ম ও ব্যাজ খুলে তা করতে হবে এবং সঠিক আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। এদিকে, ঘটনার বিষয়ে ডায়মন্ড হারবার পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে।