রাজ্য সরকারের জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। রাজ্যের লাখ লাখ মহিলা এই প্রকল্পের অধীনে প্রতিমাসে টাকা পেয়ে থাকেন। জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলারা প্রতিমাসে ৫০০ ও এসসি, এসটি সম্প্রদায়ের মহিলারা পেয়ে থাকেন হাজার টাকা। তবে এই জনমুখী প্রকল্প নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন ছিল, একই পরিবারের কতদন মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। পরিবারের এক জন মহিলা সদস্যতেই কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দেওয়া হয় নাকি একাধিক জন পেতে পারেন? সেই সন্দেহের নিরসণ করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
সোমবার আলিপুরদুয়ারে সভা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানে তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে কথা বলেন। এমনিতেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে রাজ্য সরকারের স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। তারপরও যাতে মহিলাদের মধ্যে কোনও সন্দেহ দানা না বাঁধে সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, একই পরিবারের একাধিক মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন। সরকারি বিধি অনুযায়ী কোনও পরিবারে যদি একজন, পাঁচজন, সাতজন মহিলা থাকেন তাহলে সবাই পাবেন। সকলেই এই প্রকল্পের আওতাতে আসবেন।
সুখবর আরও আছে। অনেকের মনেই প্রশ্ন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ঊর্ধ্বসীমা কত ? এর আগের বাজেট অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ২৫ বছর থেকে ৬০ বছর বয়সীরা এই প্রকল্পে টাকা পাবেন। যাতে ৬০ পার করলেও মহিলাদের হাতে সরকারি প্রকল্পের টাকা আসে, তার জন্য রাজ্য জানিয়েছিল, ৬০ পার করলে মহিলারা বার্ধক্য ভাতার আওতায় চলে আসবেন। সেকথা ফের মনে করান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য বয়সসীমা পার করলেও পরে মহিলারা বার্ধক্য ভাতার সুবিধা পাবেন।'
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানান, মোট ২৬ হাজার চা শ্রমিককে জমির পাট্টা দেওয়া হবে। ৬ হাজার জনকে দেওয়া হয় বলেও দাবি করেন তিনি। তবে শুধু পাট্টা নয়। পাওয়া জমিতে যেন বাড়ি করতে পারেন, সেই বাবদ রাজ্য সরকার ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকাও দেবে।
মমতার কথায়, 'চা সুন্দরী প্রকল্পে আমরা বাড়ি দিয়েছি। জমির পাট্টার সঙ্গে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়ে দেবে রাজ্য সরকার।' আরও আছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে এমনিতেই রাজ্য়ের মহিলারা এক হাজার টাকা ও ৫০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন। এবার চা বাগানের শ্রমিকদেরও টাকা দেওয়া হবে। মাসে দেড় হাজার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, চা শ্রমিকদের জন্য মাসিক দেড় হাজার টাকা সরকারিভাবে দেওয়া হবে। তবে এই টাকা ভাতা পাবেন বন্ধ হয়ে যাওয়া চা বাগানের শ্রমিকরা।