দীর্ঘ কয়েক মাস বন্ধ থাকার পরে অবশেষে রাজ্য চালু হল লোকাল ট্রেন পরিষেবা। সকাল থেকেই বিভিন্ন লাইনে লোকাল ট্রেন চলতে শুরু করেছে। করোনা বিধি মাথায় রেখে রেল পরিষেবায় একাধিক বদল করা হয়েছে।
স্টেশনে স্টেশনে পুরনো ছবি
মধ্যরাতে হাওড়া থেকে প্রথম লোকাল ট্রেন ছাড়া হয় মেদিনীপুরে। তাতে হাতে গোনা কয়েকজন যাত্রী ছিলেন। বর্ধমান ভায়া কর্ড লোকালেও যাত্রী সংখ্যা ছিল কম। এর পাশাপাশি বিভিন্ন লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। সকাল সাড়ে ৭টায় হাওড়া স্টেশনে দেখা গেল পুরনো ছবি। ভোরের দিকে কিছুটা ভিড় কম থাকলেও, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে।
লোকাল ট্রেনে নয়া নিয়ম
অন্যদিকে হকারদেরও উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। এদিন আপ ব্যান্ডেল লোকালে একজন হকার উঠতে যাচ্ছিলেন। পরে রেল পুলিশ তাঁকে নামিয়ে দেয়। প্রত্যেকটি স্টেশনে মোতায়েন রয়েছে পর্যাপ্ত রেল পুলিশ। চলছে কড়া নজরদারি। প্রাথমিকভাবে ৪১৩ টি ট্রেন চালানো হবে শিয়ালদহ সেকশনে । ২৭০ ট্রেন চলবে শিয়ালদহ উত্তর শাখায় এবং শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখা চলবে ১৪৩ টি ট্রেন। আপাতত ২০২টি ট্রেন চালানো হবে হাওড়া ডিভিশনে। সমস্ত স্টেশনেই ট্রেন দাঁড়াবে। আপাতত কোনও গ্যালোপিং ট্রেন নেই। অফিস টাইমে লোকাল ট্রেন চলাচলের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি লোকাল ট্রেনে করোনা বিধি মাথায় রেখে চালানো হবে। এর জন্য ট্রেনের কামরা জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। যাত্রীদের মাস্ক পরে ট্রেনে ওঠা বাধ্যতামূলক। সেইসঙ্গে মানতে হবে দূরত্ববিধিও।
এবছর করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার সঙ্গেই দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হয়ে যায়। তারপরেই থমকে যায় রেল পরিষেবা। পরে ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আংশিক রেল পরিষেবা চালু হয়। কিন্তু বাংলাতে লোকাল পরিষেবা তার পরেও চালু হয়নি। অবশেষে যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে রেল পরিষেবা চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় রেল ও রাজ্য। তারপরেই আজ থেকে চাকা গড়াল লোকাল ট্রেনের।