৭ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দার্জিলিং যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, তিনি পাহাড়ে যাচ্ছেন, কারণ তাঁর ভাইপো বিয়ে করছেন এক পাহাড়ি মেয়েকে। মমতার পরিবারের এই বিয়ের আসর নিয়েই তীব্র কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কার্শিয়াং হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স সহ সব চিকিত্সাকর্মীদের খাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন শুভেন্দু।
এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু একটি পোস্ট করেছেন। বিরোধী দলনেতা লিখছেন, 'আগামী পরশু পিসির ভ্রাতুষ্পুত্র শ্রীমানের বিবাহবাসর বসতে চলেছে শৈলশহরে। প্রীতিভোজ দিন কয়েক পরে, নিউটাউনের বিলাসবহুল ব্যাঙ্কুয়েট হলে, যেখানে বিশিষ্ট শিল্পপতিদের সন্তানদের বিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
বিবাহের আনন্দনাড়ু কুটতে ও উলুধ্বনিতে পাহাড় মুখরিত করতে ইতিমধ্যেই পিসির পরিবার; জ্ঞাতি, আত্মীয় ও কুটুম্বদের বেশ কয়েকদিনের অস্থায়ী ঠিকানা হয়েছে চা-বাগিচা এলাকার পাঁচতারা হোটেল। এছাড়াও অন্যান্য একটি প্রাঙ্গণ সুসজ্জিত হয়েছে। না, এতে বিশেষ দোষের কিছু নেই, মালকড়ি থাকলে বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে দিতে আপত্তি কোথায়! কিন্তু এর পরেই যে তাল কাটলো। সপ্তাহব্যাপী এই রাজ-অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর আজ থেকেই আগামী রবিবার অব্দি এই প্রতিটি অকুস্থলে কার্শিয়াং হাসপাতালের আঠাশজন চিকিৎসককে, সঙ্গে প্রায় সমসংখ্যক নার্স, ফার্মাসিস্ট ও অ্যাটেন্ড্যান্টদের সকাল থেকে রাত ও রাত থেকে সকাল দুই শিফটে ডিউটিতে মোতায়েন করেছে। আরো আঠাশত জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে হাসপাতালে দুই শিফটে মজুত বাহিনী হিসেবে রাখার হুকুমনামা লটকানো হয়েছে সরকারি দেওয়ালে। কিন্তু হুকুম তামিল করতে যাওয়া 'রাজবৈদ্যদের' নিশিযাপনের জন্য যে শয্যা বরাদ্দ করা হয়েছে তা নাকি নিম্নমানের লজের বিছানারও অধম, এবং মধ্যাহ্নভোজনে যে 'মিড-ডে মিল' পরিবেশন করা হয়েছে তার ছবি দেখে আপনারাই বিবেচনা করুন যে এলাহী আয়োজনের ছিটেফোঁটা ভাগ কি এই ব্যাক্তিদের দেওয়া যেত না, যাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাধ্য করা হয়েছে ওখানে যেতে।'
এদিন পাহাড় সফরে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে মমতা বলেন, 'আমি পাহাড়ে যাচ্ছি কারণ আমার ভাইপো বিয়ে করছে একটা পাহাড়ি মেয়েকে। আমার ভাইপো নিজে ডাক্তার। আর ওর বরকর্তা ফিরহাদ হাকিম।অনেকে পাহাড়কে বিচ্ছিন্ন করার কথা বলেন।'