আগের পরিস্থিতি একটু পাল্টালেও এখনও কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলির অপরিচ্ছন্নতার ছবি একই। নোংরা, অপরিচ্ছন্নতা সর্বত্রই। কিছু কিছু হাসপাতাল অবশ্য পুরোনো চেহারা অনেকটাই বদলেছে। যাদের মধ্যে রয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Calcutta Medical College)। সেখানেই ভিআইপি কেবিন তৈরি হতে চলেছে। ঝাঁ চকচকে ওয়ার্ডে একেবারে বেসরকারি পাঁচতারা হাসপাতালের মতো।
সরকারি হাসপাতালগুলিতেও বেসরকারি সহায়তায় প্রাইভেট কেবিন খোলার কথা দীর্ঘদিন ধরেই ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছিল। রাজ্যে প্রথম এসএসকেএম হাপাতালের উডবান ওয়ার্ডে প্রাইভেট কেবিন তৈরি হয়। এবার তেমনই কেবিন তৈরি হতে চলেছে মেডিক্যাল কলেজেও। মেডিক্যাল কলেজের সুপার অঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছেন, কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুতই চালু হবে।
আরও পড়ুন-শহরজুড়ে গলাব্যথা-কাশি-জ্বর, কতটা ভয়ের-কী করবেন? জানালেন বিশিষ্ট ডাক্তাররা
জানা যাচ্ছে, ১ মার্চ থেকে হাসপাতালের ১০ তলায় প্রাইভেট কেবিনগুলো চালু হবে। এর কিছুদিন পরে ৯ তলাতেও একইরকম প্রাইভেট কেবিন খোলা হবে। আউটডোরে মাত্র ২ টাকায় রোগী দেখা হয়। ভিআইপি কেবিন খোলা হলে সেখান থেকে যা আয় হবে, তা সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাতেই কাজে লাগানো হবে। সরকারি হাসপাতালেই ভিআইপি পরিষেবা পাবেন রোগীরা। জানলা দিয়ে দেখা যাবে হাওড়া ব্রিজ, দ্বিতীয় হুগলি সেতু, অন্য দিকের কেবিন থেকে উত্তর এবং পূর্ব কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চল দেখা যাবে। এছাড়াও বেসরকারি দামী হাসাপাতালে যা যা সুবিধে থাকে, সবই থাকবে।
কেবিনগুলো হবে ঝাঁ চকচকে। রোগীর ভিড়, ওষুধপত্রের কটূ গন্ধ পাবেন না রোগীরা। বাতানুকূল প্রাইভেট কেবিন কমপ্লেক্সের প্রত্যেকটি ঘরে থাকবে টিভি, সোফা, আলমারি। ভিআইপি কেবিন, আধুনিক টয়লেট। ঘরের সঙ্গে থাকবে বারান্দা, রান্নাঘরে মাইক্রোওয়েভ, ফ্রিজ সবই থাকবে।
ভাড়া কেমন হবে?
বেসরকারি নার্সিংহোম, হাসপাতালের তুলনায় কমই হবে। ডাক্তার, নার্সের জন্য আলাদা ফি গুনতে হবে না। ওষুধও রোগীর পরিজন ফেয়ার প্রাইস শপ থেকেই বাজারের থেকে অনেক কম দামে কিনতে পারবেন।
ডাবল অকুপেন্সি কেবিনে রোগী পিছু বেড ভাড়া পড়বে দু’ হাজার টাকা। সিঙ্গল কেবিনে আড়াই হাজার। ২৬টি এমন কেবিন খোলা হবে বলে জানা গেছে। সেখানে ডাক্তার, ডাক্তারি পড়ুয়া, কর্মীদের জন্য কয়েকটি বেড সংরক্ষিত থাকবে। একটি রিজার্ভ থাকবে ভিআইপিদের জন্য।
আরও পড়ুন-গ্রামেই যাবেন কলকাতার ডাক্তাররা, পঞ্চায়েতের আগে শুরু হচ্ছে 'দুয়ারে পিজি'