পুজোর আর হাতে গোনা দিন বাকি। অতিমারী পরিস্থিতিতেই সেজে উঠছে শহর। একদিকে বিষাদ, অন্যদিকে উমার বাড়িতে আসার পালা। সব মিলিয়ে বিভ্রান্ত বাঙালি পুজোর হাওয়ায় গা ভাসিয়েছে।
তবে অন্যান্য বছরের মতো এই বছর দুর্গা পুজোয় কলকাতার চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। বারোয়ারি পুজোর ক্ষেত্রেও রয়েছে অনেক নিয়মাবলী। প্রশাসনের নির্দেশ মেনে খোলামেলা মন্ডপ, সামাজিক দূরত্ব মেনে ঠাকুর দেখা ও সময়ের ব্যবধানে পুজো মন্ডপ স্যানিটাইজ করা ইত্যাদি থাকবে এইবারের পুজোর কয়েকদিনের রুটিন। তবে এত নিয়মের মধ্যেও কলকাতার নামী ক্লাবগুলি চেষ্টা করছে অন্যতম কিছু করার।
উত্তর কলকাতায় জনপ্রিয় পুজো শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো। এবারের ৪৮ তম বছরে তাদের থিম 'কেদারনাথ'। ২৫ কেজি সোনায় সাজবেন শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের দুর্গা প্রতিমা। বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি পুজোর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। আগামী রবিবার থেকে দশনার্থীদের জন্যে খুলে হবে পুজো মন্ডপের গেট। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পুজোর উদ্বোধন করলেও, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, উত্তর ২৪ পরগনা-র জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী, বিধাননগর পুলিশ কমিশনার মুকেশ কুমার ও আরও অন্যান্যরা।
শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জি.কে গোস্বামী, আজতক বাংলা-কে জানান, " সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী সমস্ত রকম নিয়মাবলী মেনে চলা হচ্ছ। এছাড়াও এক লক্ষ মাস্ক তৈরি রাখা হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে। বিভিন্ন জায়গায় স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা ও স্যানিটাইজার পাউচ্ দর্শনার্থীদের প্রয়োজনে দেওয়া হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য চিহ্ন করে দেওয়া হবে। ক্লাবের তরফ থেকে কোনরকম ত্রুটি রাখিনি আমরা, এবার বাকিটা দর্শনার্থীদের উপর"।
তবে ২০২০-র মহামারীর সময়ে যেখানে এত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং চাকরি হারাচ্ছেন অনেকেই। সেই পরিস্থিতিতে সোনার দুর্গা প্রতিমা করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যেই।